নয়া দিল্লি: ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে সরকার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটে (Union Budget 2020-21) এ কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, নতুন অর্থবর্ষে আরও সরকারি ব্যঙ্কের বেসরকারীকরণ করা হবে। এবার শীতকালীন অধিবেশনে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল আনতে চলেছে মোদি সরকার। 


যদিও কোন কোন সরকারি ব্যঙ্কগুলির বেসরকারিকরণ হবে, তার নাম বলেননি তিনি। অধিবেশন চলাকালীন যে ২৬টি বিল পেশ করার কথা রয়েছে তার মধ্যে এই আইনটি একটি। সূত্র বলছে, বিলে বেসরকারিকরণ হতে যাওয়া দুটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করার সম্ভাবনা নেই। পরিবর্তে, সরকার পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির বেসরকারীকরণের জন্য সক্রিয় আইন তৈরি করবে। 


১৯৭০ ও ১৯৮০ সালের ব্যাঙ্ক জাতীয়করণের দু’টি আইন এবং ১৯৪৯-এর ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করা হবে বলে জানা গেছে।আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই অন্তত ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। একসঙ্গে অনেক ব্যাঙ্কের দায়িত্ব আর সরকার নিজের হাতে রাখতে চাইছে না, এমনটাই সূত্রের খবর। 


আরও পড়ুন, নয়া নিয়ম ঘোষণা এসবিআই-এর, না মানলে বন্ধ হবে লেনদেন


বেসরকারিকরণের তালিকায় ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের নাম থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মনেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কোন দু’টি সরকারি ব্যাঙ্ককে এ বার বেসরকারিকরণ করা হতে পারে। এদিকে, ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও এই ডাক দিয়ে কলকাতা থেকে দিল্লি যাত্রা করবে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন। আগামী ২৪ নভেম্বর কলকাতা থেকে শুরু হবে যাত্রা।  দিল্লিতে গিয়ে শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসাররা।   


রাষ্ট্রায়ত্ত ও গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এই অভিযোগে রাস্তায় নামছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠন।  দেশজুড়ে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও যাত্রা শুরু করছেন সংগঠনের সদস্যরা। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স  কনফেডারেশনের হুঁশিয়ারি, কেন্দ্র সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মোদি সরকার এই সংক্রান্ত বিল আনলে, তারা ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের পথে হাঁটবে।