নয়া দিল্লি : ভারত সহ ছয়টি দেশের ট্রানজিট ট্রাভেলারদের (গন্তব্যে পৌঁছতে যে সব যাত্রী ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের জন্য অন্য বিমানবন্দর ব্যবহার করেন) উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এখান থেকে যাতায়াতকারী ও এখানে আসা যাত্রীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে। ভারত ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, নাইজিরিয়া ও উগান্ডা।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ন্যাশনাল এমারজেন্সি অ্য়ান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট অথিরিটি ট্যুইট করে জানিয়েছে, এই ক্যাটেগরিতে তাঁরা থাকবেন যাঁদের বৈধ রেসিডেন্সি পারমিট রয়েছে। যাঁদের সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। এছাড়া সেকেন্ড ডোজ নেওয়ার পর ১৪ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন এবং এদেশের অফিসিয়াল কর্তৃপক্ষের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট আছে।
এর পাশাপাশি এনসিইএমএ-র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ক্যাটেগরি কাদের জন্য। এনসিইএমএ-র ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, এদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের এই ক্যাটেগরি থেকে ছাড় দেওয়া হবে। এই তালিকায় রয়েছেন- চিকিৎসক, নার্স এবং টেকনিসিয়ানরা। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি যাত্রীদের কাছে অন্যতম বড় ট্রানজিট হাব। কারণ, এটা আমেরিকা, ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলিকে সংযুক্ত করে। কিন্তু, করোনা অতিমারির কারণে বেশ কয়েক মাস তা স্থগিত রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভারত সহ ১৬টি দেশকে উড়ানে ছাড়পত্র না দেওয়ার কথা জানিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিশাহি। জেনারেল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি সূত্রে সে খবর জানা যায়। GCAA-র অ্যাডভাইসরিতে যে ১৬টি দেশের কথা বলা ছিল সেগুলি হল- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাইবেরিয়া, নামিবিয়া, নেপাল, নাইজিরিয়া, পাকিস্তান, উগান্ডা, সিয়েরা লিয়ন, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়া। এর পাশাপাশি GCAA-র তরফে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির নাগরিকদেরও ওইসব দেশে ফ্লাইটে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়। তবে, ছাড় দেওয়া হয় কূটনীতিক এবং যাঁদের মেডিক্যাল এমার্জেন্সি রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে।