নয়া দিল্লি: রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছেন ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাষণের পর 'রাইট টু রিপ্লে'তে জবাব দেন এই ভারতীয় কন্যা। সেই বার্তা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই চোখের পলকে তা ভাইরাল। এই মুহূর্তে টুইটারে টপ ট্রেন্ড করছেন স্নেহা। 


রাষ্ট্রসংঘরে সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ফের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে এসে নিশানা করেন ভারতকে। ইমরান খানের মন্তব্যের জবাবে নিন্দার সুরে স্নেহা সাফ জানান, ইসলামাবাদের সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসীদের সমর্থন করার একটি ইতিহাস রয়েছে, যা বিশ্ব দরবারেও প্রতিষ্ঠিত।


স্নেহার সম্পূর্ণ ভাষণটি শুনে টুইটার ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে, "আপনার জন্য গর্বিত"। আপাতত নেটিজেনরা মাইক্রো-ব্লগিং সাইটটিকে ভরিয়ে দিয়েছেন স্নেহার ছবি ও ভাইরাল হওয়া ক্লিপটি দিয়ে। আইপিএস এই অফিসারের 'শক্তিশালী' বক্তৃতার জেরে অনেকেই তাঁকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। 



প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। প্রথম চেষ্টাতেই ইউপিএসসিতে সাফল্য পেয়েছিলেন স্নেহা দুবে। ২০১ ৪ সালে মাদ্রিদে ভারতীয় দূতাবাসে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে স্নেহা রাষ্ট্রসংঘে সাধারণ পরিষদে ভারতের প্রথম সচিব। আন্তর্জাতিক বিষয়ে আগ্রহের কারণেই এই পদ পান তিনি। পাকিস্তানকে যথাযথ জবাব দিতে গিয়ে স্নেহা দুবে বলেন, "জম্মু -কাশ্মীর এবং লাদাখের পুরো অংশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।" 


স্নেহার এই বক্তৃতার পর তাঁকে প্রাক্তন দুই রাষ্ট্রসংঘের ভারতীয় মহিলা কূটনীতিক এনাম গম্ভীর এবং বিদিশা মৈত্রের সঙ্গে তুলনা করে প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। 


অন্যদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে টেনে ফের পাকিস্তানকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বার বার বুঝিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের মাটি সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করতে পারে 'কুচক্রীরা'। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের দরবারে সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন মোদি।


এদিন রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''আফগানিস্তানের মানুষ, নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের এখন সাহায্যের প্রয়োজন। তাদের সাহায্য দিয়ে আমাদের কর্তব্য পালন করতে হবে। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে আফগানিস্তানের স্পর্শকাতর পরিস্থিতির কেউ যেন সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা না করে। এই মাটি যেন কেউ নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে না। সেই বিষয়টাও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।'' স্বাভাবিকভাবেই মোদির তির যে পাকিস্তানের দিকে তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের।