নয়াদিল্লি: পড়শি দেশে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটছে সংক্রমণে (COVID Cases)। তাতে নতুন করে কোভিড আতঙ্ক চেপে বসেছে ভারতেও। সেই আবহে নেজাল ভ্যাকসিনের (COVID Nasal Vaccine) দাম নির্ধারণ করে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জিএসটি ছাড়া নেজাল ভ্যাকসিনের দাম ৮০০ টাকা পড়ছে। জিএসটি সমেত দাম পড়তে পারে ১০০০ টাকা (COVID Vaccine)। সরকারি জায়গায় ৩২৫ টাকা দাম পড়বে ৫ শতাংশ জিএসটি ছাড়া।


নতুন করে কোভিড আতঙ্ক চেপে বসেছে ভারতেও


সম্প্রতি দেশের প্রথম নেজাল ভ্যাকসিন,  অর্থাৎ নাকের মধ্যে ফোঁটার আকারে দেওয়া টিকাকে ছাড়পত্র দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রানেসাল কোভিড টিকা-iNCOVACC-কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারতে। বুস্টার ডোজ হিসেবে এই নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। আপাতত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মিলছে এই নেজাল ভ্যাকসিন। আগের দুই টিকা নেওয়া থাকলেই নেওয়া যাবে এই বুস্টার ডোজ। 


কেন্দ্রীয় সরকারের কোউইন অ্যাপেও তার জন্য নাম নথিভুক্ত করা যাবে।  কোভিডের চিকিৎসায় সেটির অন্তর্ভুক্তি হয়ে গেল। তবে মিলবে জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহ থেকে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স যাঁদের, আগের দু'টি টিকা নিয়েছেন যাঁরা, তাঁরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন। সবমিলিয়ে এই নেজাল ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিতে হবে।


আরও পড়ুন: Coronavirus Live : আজ দেশজুড়ে কোভিডের মক ড্রিল, কতটা তৈরি কোন রাজ্য ?


এ দিকে, করোনা উদ্বেগ নিয়ে কর্ণাটকে কড়া করোনা-বিধি। বেশ কিছু জায়গায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশে করোনা গ্রাফের ওঠানামা চলছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৭ জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২৭।  দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪৫৯। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় কেরলে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৬৯৬ জনের।


বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৩২ জনের


বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৩২ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ কোটি ৭৫ লক্ষ ৯৩ হাজার ৪৬৩।


এই মুহূর্তে করোনার নতুন ঢেউয়ে তছনছ চিন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। হাসপাতাল ও মর্গগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। শ্মশানের বাইরে লম্বা লাইন। এ নিয়ে গোটা বিশ্বেই নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আমেরিকার বিজ্ঞানী এরিক ফিগলের দাবি, আগামী তিনমাসে বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।