নয়াদিল্লি:এ যেন এক বৈদুর্যমণি! খনি থেকে উদ্ধার হওয়ার পরেই তা থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে হলুদ-দ্যুতি। ওজন ২৩৬ ক্যারেট। উদ্ধারের পরে কোনও হীরের এমন দ্যুতি সচরাচর চোখে পড়ে না। বিশ্বের প্রথম সারির হীরের সংস্থা আলরোসা তাদের খনি থেকে এমনই হীরে পেয়েছে।
রাশিয়ার সংস্থা আলরোসা হিরে কাটা ও পালিশ করা বিভাগের প্রধান পাভেল ভিনিকিন জানাচ্ছেন, এত বড় অথচ এমন অপূর্ব রঙের হিরে খনিতে পাওয়াই যায় না।
এমন তাক লাগানো হিরে নিয়ে তারা কী করবেন তা এখনও ভেবে উঠতে পারেনি আলরোসা সংস্থা। এই অবস্থাতেই তারা এটি বিক্রি করবে, নাকি সাফসুতরো করে, হিরে কাটিং করে বহু ছোট ছোট হিরেয় পরিণত করার পর বিক্রি করবেন। কোন দিকে লাভ বেশি সেটা খতিয়ে দেখে সংস্থা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে।
মনে করা হচ্ছে, ওই হিরের খণ্ডটি ১২ থেকে ২৩ কোটি বছরের পুরনো। এই প্রথম যে এমন রঙিন হিরের টুকরো পাওয়া গেল, তা নয়। বছর তিনেক আগেও হলুদ, পিঙ্ক এবং পার্পেল-পিঙ্ক রঙের হিরের তিনটি টুকরো পাওয়া গিয়েছিল।