কলকাতা: শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে ঘোষণা করেন, ১ জুন থেকে খুলে যাবে রাজ্যের সব ধর্মস্থান। করোনা-সতর্কতা মেনে পুজো দিতে পারবেন মানুষ। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ভক্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। সেখানে থাকতে হবে স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। সেই কথা মেনেই সোমবার থেকে শহর ও জেলায় বেশ কিছু মন্দিরের দরজা খুলে গেছে। আবার কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে, অনেকে মন্দির এখনই খুলছে না।

১ জুন কলকাতা খুলে গেল কয়েকটি বেশ মন্দিরের দরজা। তবে খোলেনি কালীঘাট মন্দির। এনিয়ে মন্দির কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানানো হয়েছে।

দর্শনার্থীদের জন্য এদিন সকাল থেকে খুলে দেওয়া হয় ঠনঠনিয়া, ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি, লেক কালীবাড়ি মন্দিরের দরজা। তবে এখনই পুজো দিতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা।

পঞ্চপীঠের জেলা বীরভূমে বক্রেশ্বর বাদে চারটি সতীপীঠের দরজাই খুলে দেওয়া হল ভক্তদের জন্য। এই চারটি সতীপীঠ হল, সাঁইথিয়ার নন্দীকেশ্বরী, নলহাটির নলাটেশ্বরী, বোলপুরের কঙ্কালী ও লাভপুরের ফুল্লরা। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বিধি-নিষেধের কথা বলা হলেও, পর্যবেক্ষণ বা নজরদারির জন্য কোনও তত্পরতা চোখে পড়েনি। পুণ্যার্থীদের সংখ্যা হাতে গোনা। তবে সকলেই মাস্ক পরে এসেছেন। মন্দিরের তরফে স্যানিটাইজারের কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ।

সোমবার থেকে খুলবে না তারাপীঠের মন্দির আগেই জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। করোনা সতর্কতা নিয়েই মন্দির খুলবে। তার ব্যবস্থার করতে সময় লাগবে। তাই ১৫ জুনের আগে মন্দির খোলা সম্ভব নয়, বলে জানানো হয়। ১৪ জুন জুন রিভিউ মিটিং হওয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এই মুহূর্তে খুলছে না বেলুড় মঠও। জানানো হয়েছে, মঠ কর্তৃপক্ষের তরফে। এখন থেকে ১৫ দিন পর খুলতে পারে বেলুড় মঠ, দুঘণ্টা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের |