নয়া দিল্লি: শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করতেই চিন্তা বাড়ল। মৃত্যু ৯ লক্ষ ছাড়িয়েছে সে দেশে।  এই সংখ্যাটি যেকোন দেশের দ্বারা রিপোর্ট করা কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর মৃত্যু পরিসংখ্যানে রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল এবং ভারত। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সামগ্রিক জনসংখ্যার নিরিখে অন্যান্য দেশের তুলনায় ওমিক্রন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশি আঘাত করেছে।


তবে আগের থেকে কিছুটা কমেছে মৃত্যু হার। ওমিক্রন ঢেউ কমে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর হার কমছে বলে মনে হচ্ছে। কোভিড অতিমারির বর্তমান তরঙ্গের সময় সর্বোচ্চ গড় দৈনিক ২৬৭৪-এর তুলনায় সাত দিনের গড় পরপর দুই দিনের জন্য ২৫৯২-এ নেমে এসেছে। মার্কিন এপিডেমিওলজিস্টরা যারা কোভিড-১৯ অতিমারি সরকারি পরামর্শ জানাতে গিয়ে তারা সতর্ক করেছেন যে ভবিষ্যতে সংক্রমণের বড় তরঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলিভার ভেরান বলছেন, ‘‘ওমিক্রনের মারণ শক্তি কম হতে পারে, কিন্তু যে হারে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাতে অন্য আশঙ্কা দেখছেন চিকিৎসকেরা।’


আমেরিকায় যেমন আক্রান্তের সংখ্যা ভেঙে দিচ্ছে সর্বকালীন রেকর্ড, তেমনই ফ্রান্সের হাসপাতালে উপচে পড়ছে করোনা রোগী। গোটা বিশ্ব জুড়েই প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ। সোমবার, আমেরিকায় ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ১০ লক্ষের বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। গত সোমবার অর্থাৎ, ৩ জানুয়ারি আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষের সামান্য বেশি। পরিসংখ্যান বলছে, বাইডেনের দেশে গত সাত দিনে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ।                                                  


সংবাদ সংস্থার দাবি, এই মুহূর্তে আমেরিকায় ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৫০০ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত বছর জানুয়ারিতে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৫১ জন।