নয়াদিল্লি: চিন ও পাকিস্তান, দু দেশই লাগাতার ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে চলেছে। এই অভিযোগে দুই দেশকে বিশেষ উদ্বেগের তালিকাভুক্ত তকমা দিল আমেরিকা। এই তালিকায় রয়েছে আরও ছটি দেশ। এক বিবৃতিতে এমন জানিয়েছে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রক।
সাম্প্রতিককালে চিন-আমেরিকা দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। সম্প্রতি আমেরিকার শীর্ষ গোয়েন্দা কর্তা লিখেছেন, আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিপদ চিন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়োর কথাতেও চিনের প্রতি কড়া বার্তা রয়েছে। তিনি বলেছেন, ’’ পাকিস্তান, চিন, মায়ানমার, ইরিত্রিয়া, ইরান, নাইজিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানের মতো দেশগুলিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার গুরুতর দিকগুলি লঙ্ঘিত হয়ে আসছে। ফলে ১৯৯৮ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন অনুযায়ী এই দেশগুলি বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।‘‘
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, রাশিয়া, কোমোরোস, কিউবা, নিকারাগুয়া এই দেশগুলিকে বিশেষভাবে নজর রাখা দেশের তালিকা বা স্পেশাল ওয়াচ লিস্টে রেখেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
পম্পেয়ো বলেছেন, ’’ধর্মীয় স্বাধীনতা অপরিবর্তনীয় অধিকার, তার উপর ভিত্তি করেই মুক্ত সমাজ গড়ে ওঠে, প্রসারিত হয়। আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন তাঁদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি জাতি।‘‘
সুদান ও উজবেকিস্তানকেও একসময় আমেরিকা বিশেষভাবে নজর রাখার তালিকাভুক্ত দেশের মধ্যে রেখেছিল। কিন্তু এখন সে তালিকার বাইরে রয়েছে এই দুই দেশ। পম্পেয়ো বলেছেন, ’’সাহসী সংস্কারের পথে এগনোর জন্য অন্যান্য দেশগুলির কাছে এখন তারা মডেল।‘‘
আল সাহিব, আল কায়দা, বোকো হারাম, আইসিস-সহ আটটি জঙ্গি সংগঠনকে বিশেষ উদ্বেগজনক সংগঠনের তকমা দিয়েছে আমেরিকা।
আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এত কঠোর নীতি নিলেও তার মেয়াদ এখন হাতেগোনা। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্বভার নিতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন। চিন মোকাবিলায় তিনি সরাসরি এমন সংঘাতের পথে হাঁটবেন বিশ্বের বাকি দেশগুলির সঙ্গেই বা তাঁর বিদেশনীতি কোন পথে চালিত হবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।