Donald Trump: বিমানবন্দরের কাছেই স্নাইপারের কাঠামো, ছোট সিঁড়ি বেয়ে এয়ারফোর্স ওয়ানে উঠলেন ট্রাম্প
Donald Trump Security: নিরাপত্তাজনিত কারণে, ট্রাম্প ছোট, পিছনের সিঁড়ি দিয়ে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠেন -- যা সাধারণত কম দৃশ্যমানতা বা চূড়ান্ত-বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্য সংরক্ষিত।

স্পষ্ট স্নাইপারের দৃশ্যমানতার মধ্যেই প্রেসিডেন্টের বোর্ডিং ও প্রস্থান এলাকা। সন্দেহজনক স্নাইপার নেস্ট খুঁজে বের করে সিক্রেট সার্ভিস। আর তারপরেই নিরাপত্তা তৎপরতা বাড়ল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ছোট সিঁড়ি বেয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের জন্য বরাদ্দ এয়ারফোর্স ওয়ানে উঠলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার এমন দৃশ্য ধরা পড়ে পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ফক্স নিউজের খবর। ফক্স নিউজকে এফবিআই ডিরেক্টর কাশ পটেল বলেন, "প্রেসিডেন্টের ওয়েস্ট পাম বিচে ফিরে আসার আগে, ইউএসএসএস এয়ার ফোর্স ওয়ানের ল্যান্ডিং জোনের দৃষ্টিসীমার মধ্যে একটি উঁচু শিকারের স্ট্যান্ড আবিষ্কার করা হয়।" তাঁর সংযোজন, সেখানে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি । তদন্তের দায়িত্বভার নিয়েছে এফবিআই। তথ্য়প্রমাণ সংগ্রহের দল মোতায়েন করা হয়েছে। সেল ফোন অ্যানালিটিক ব্যবস্থা কাজে লাগানো হচ্ছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ঘটনাস্থলে কোনও গোলাবারুদ বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি। তবে, কাঠামোর উপস্থিতি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রোটোকল পর্যালোচনার প্রয়োজন বাড়িয়েছে। FBI জানিয়েছে যে, সম্প্রতি এয়ার ফোর্স ওয়ান যে বিমানঘাঁটিতে রাখা হয়েছিল, সেখান থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে কাঠের কাঠামোটি দেখা গেছে। স্থানীয় মিডিয়া অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের বিমানটি বিমানবন্দরের অন্যত্র রাখা হয়েছিল। কিন্তু চলতে থাকা নির্মাণকাজের কারণে এটি ব্যক্তিগত বিমানের জন্য ব্যবহৃত একটি এলাকার কাছাকাছি চলে আসে, যার ফলে এটি পার্চের সম্ভাব্য দৃশ্যমানতার মধ্যে চলে আসে। এফবিআই ডিরেক্টর বলেন, তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন কে এই কাঠামোটি তৈরি করেছে বা ব্যবহার করেছে এবং এটি সাম্প্রতিক কোনও নিরাপত্তা-হুমকির সঙ্গে যুক্ত কিনা।" তদন্ত চললেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণে, ট্রাম্প ছোট, পিছনের সিঁড়ি দিয়ে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠেন -- যা সাধারণত কম দৃশ্যমানতা বা চূড়ান্ত-বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্য সংরক্ষিত।
এদিকে সরকারি বিরোধী আন্দোলনে ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। বিরোধী শিবিরের রাজনীতিক থেকে সংবাদমাধ্যমের উপর আক্রমণের অভিযোগ ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে কট্টর অভিবাসী নীতি নিয়েও প্রশ্নের মুখে সরকার। সেই নিয়ে ‘No Kings’ আন্দোলন শুরু হয়েছে আমেরিকায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নামেন বলে জানা যায়। ট্রাম্প সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তপ্ত হয়ে উঠেছে নিউ ইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, শিকাগো, মায়ামি, লস অ্যাঞ্জেলস-সহ একাধিক জায়গায়। শিকাগোয় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত দেখা গিয়েছে। নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যার মুখী প্রত্যেকটি রাস্তা ভিড়ে উপচে পড়ে। হাতে প্ল্যাকার্ড, ট্রাম্পের কুশপুতুলও চোখে পড়ে। স্লোগান ওঠে, ‘ডেমোক্র্যাসি নট মনার্কি’ (গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র নয়), ‘দ্য কনস্টিটিউশন ইজ নট অপশনাল’ (সংবিধানের বিকল্প নেই)।






















