নয়াদিল্লি: কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। সেই আবহেই নারী নির্যাতনের ঘটনায় কমতি দেখা যাচ্ছে না কোথাও। শিক্ষকের লালসার শিকার এক কিশোরীর মৃত্যু হল এবার। উত্তরপ্রদেশের ওই কিশোরী কয়েক মাস আগেই ধর্ষণের শিকার হয়। এতদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল সে। লড়াই শেষ হল মঙ্গলবার। (Sonbhadra Rape Case)
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের গত বছর ডিসেম্বর মাসে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর বাড়ি সোনভদ্রের দুধীর একটি গ্রামে। স্কুলের শিক্ষকের লালসার শিকার হয় ওই কিশোরী। গত ২০ দিন ধরে বারাণসীর বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ওই কিশোরী। (Uttar Pradesh News)
কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিশ্বম্ভর মেয়েটির স্কুলে স্পোর্টস ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর মেয়েটিকে খেলায় অংশ নিতে ডেকে পাঠান। এর পর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। লজ্জায় প্রথমে কাউকে কিছু জানায়নি ওই কিশোরী। কিন্তু ঘটনার পর থেকে তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করে। ছত্তীসগঢ়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে কিছুদিন ছিল মেয়েটি। কিন্তু সেখানেও স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়নি।
এর পর পরিবারকে সবকিছু খুলে বলে মেয়েটি। তড়িঘড়ি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, নীরব থাকার জন্য অভিযুক্ত তাদের ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। লজ্জায় পরিবারের লোকজনও বিষয়টি চেপে যান। কিন্তু মেয়েটির স্বাস্থ্যের যত অবনতি হতে শুরু করে, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন।
শেষ পর্যন্ত গত ১০ জুলাই মেয়েটির পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। বালিয়ার বাসিন্দা বিশ্বম্ভরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা আইনে (POCSO) মামলা দায়ের হয়। বিশ্বম্ভরের নাগাল পেতে দু'টি টিমও গঠন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিশ্বম্ভরের নাগাল মেলেনি। শীঘ্রই অভিযুক্ত ধরা পড়বেন বলে যদিও আশাবাদী জেলা পুলিশ।
কলকাতার আর জি করের ঘটনায় এই মুহূর্তে উত্তাল দেশ। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেই আবহেও নারী নির্যাতনের ঘটনা বন্ধ হয়নি। প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘটনা ঘটে চলেছে। সেই আবহেই কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনাটি সামনে এল।