নয়াদিল্লি: পরিবার একটাই। মধ্যপ্রদেশের নামী রাজ পরিবার। তবে অভিজাত সিন্ধিয়া পরিবারে একই ছাদের নীচে ভিন্ন রাজনীতির সহাবস্থান। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তাঁর প্রয়াত পিতা মাধব রাও সিন্ধিয়া রাজনৈতিক কেরিয়ারে হাত-কে বেছে নিলেও তাঁর ঠাকুমা প্রয়াত রাজমাতা বিজয়রাজে সিন্ধিয়া চলে আসেন পদ্ম শিবিরে। দুই পিসি বসুন্ধরা, যশোধরাও বিজেপি শিবিরেই। বসুন্ধরা মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজস্থানের। গতকাল যশোধরা জ্যোতিরাদিত্যের বিজেপিতে প্রবেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা ওর ঘর ওয়াপসি।


আর বসুন্ধরা আজ ট্যুইট করেন, আজ রাজমাতা বেঁচে থাকলে তুমি যে দেশকে সবার আগে রাখলে, এটা দেখে খুব উচ্ছ্বসিত হতেন। তাঁকে বিজেপিতে স্বাগত জানিয়ে বসুন্ধরা আরও লেখেন, তোমার সাহস, চরিত্রের তারিফ করছি। একই টিমে আমরা, এটা দারুণ।
ঘটনাচক্রে রাজমাতা সাহেব নামে বেশি পরিচিত বিজয়রাজে ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটেই জীবনের প্রথম নির্বাচনে জেতেন গুনা থেকে। পরবর্তীকালে তিনি জনসঙ্ঘ, স্বতন্ত্র পার্টি ও বিজেপির প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন। তিনি বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও।


যশোধরা রাজে এবার ‘দারুণ পিসি-ভাইপো জোট’ তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। শিবপুরীর বিজেপি বিধায়ক তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে, আজ দারুণ আনন্দের দিন। শিবরাজ সিংহ চৌহানের নেতৃত্বে সরকার তৈরি হবে। ওনার নেতৃত্বে কাজ করেছি আমি, জানি কী দারুণ দারুণ প্রকল্প ছিল মানুষের জন্য, যা এখন নেই।
শিবরাজও বিজেপিতে জ্যোতিরাদিত্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মহারাজের কংগ্রেসে থেকে হতাশ হওয়ার সঙ্গত কারণ আছে। এটা বিজেপি, ব্য়ক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুশির দিন। আজ আমার রাজমাতা সিন্ধিয়ার কথা মনে পড়ছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপি পরিবারের সদস্য় হয়েছেন। গোটা পরিবারটাই এখন বিজেপির সঙ্গে। ওদের রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবার একটা ঐতিহ্য আছে।
এদিকে জ্যোতিরাদিত্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ বাদেই তাঁকে বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের হর্ষ চৌহানের সঙ্গে মধ্যপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়।