কাসারাগোড়: মন্দিরে দেবী দর্শনে ভিড় হয় ভক্তবৃন্দের।  কিন্তু উত্তর কেরলের কাসারাগোড়ের শ্রী অনন্তপুরা মন্দিরে সম্প্রতি ঢুকে পড়ে এক অতিকায় কুমীর।  বেশ কয়েক বছর ধরে ‘নিরামিশাষী’ কুমীরটি মন্দিরের পুকুরেই থাকে। পূজারীদের বক্তব্য, এই প্রথম বিবিয়া নামে কুমীরটি মন্দিরে উঠে এল। সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

মন্দিরের কর্মকর্তা চন্দ্রশেখরণ বলেছেন, কেউ কেউ বলছে, বিবিয়া মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু তা ঠিক নয়। তবে মঙ্গলবার বিকালে ও মন্দির চত্বরে ঢুকে কিছুক্ষণ সেখানে কাটায়, কিন্তু মন্দিরের প্রধান পূজারী চন্দ্রপ্রকাশ নাম্বিসান তাকে তার আসল জায়গা, অর্থাত পুকুরে চলে যেতে বললে সেখানেই সে ফিরে যায়। স্বভাব-চরিত্রে শান্ত কুমীরটি কী করে মন্দিরে ঢুকল, কে তার নামকরণই বা করেছিল, কারও  জানা নেই। তবে ৭০ বছরের ওপর সে মন্দিরের পুকুরে বসবাস করছে বলে অনেকের বিশ্বাস। দেবীর পুজোয় নিবেদন  করা প্রসাদ খায় বিবিয়া। পূজারী তাকে ডাকলেই সে পুকুর থেকে উঠে আসে।



মন্দিরের আরেক কর্মী বলেন, পূজারী দিনে দুবার বিবিয়াকে খাওয়ান। বিবিয়ার সঙ্গে তাঁর অদ্ভূত রসায়ন আছে। মন্দিরের পুকুরে প্রচুর মাছ  থাকলেও বিবিয়া তাদের আক্রমণ করে না বা গিলে খায় না।  ও পুরোপুরি শাকাহারী কুমীর, প্রাচীন মন্দিরের নিয়মরীতি মেনে চলে।

বন্য জীবন বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বিবিয়া মকরজাতীয়  কুমীর। মন্দিরের প্রসাদ হয়তো ওর  খাবার হতে  পারে। কিন্তু  বন্য  জীবনে এ ধরনের কুমীর মাছ, ইঁদুর, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণী,  কোনও কোনও ক্ষেত্রে তার চেয়ে বড় শিকার ধরে খিদে মেটায়।

অনন্তপুরা মন্দিরটি অনন্তপুরা গ্রামের একটি হ্রদের মাঝখানে। কেরলে এধরনের মন্দির একমাত্র এটিই। মন্দিরের পূজারী, ভক্তদের বিশ্বাস, বিবিয়াকে ভগবানই পাঠিয়েছেন মন্দিরকে বিপদ থেকে বাঁচাতে।