WB Corona LIVE: গত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১৯ হাজার ৪৪১ জন, মৃত্যু ১২৪ জনের
রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা সংক্রমণ
রাজ্যে বেলাগাম করোনা সংক্রমণ। দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের ১৯ হাজার পার। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৯ হাজার ৪৪১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১২৪ জনের, কলকাতায় আক্রান্ত ৪ হাজার ছুঁইছুঁই, মৃত্যু ২৮ জনের। উত্তর ২৪ পরগনাতেও সংক্রমিত প্রায় ৪ হাজার, মৃত ৩৪।
র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে নেগেটিভ এলে করতে হবে আরটিপিসিআর’।
‘যা নমুনা আসছে, তার ৩০-৪০ শতাংশ পজিটিভ আসছে’, করোনা পরীক্ষায় আইসিএমআরের সংশোধিত নীতিতে নির্দেশ। জানালেন নাইসেড অধিকর্তা শান্তা দত্ত।
করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের উদাসীনতায় সমস্যায় পড়েছেন বহু রোগী। এনিয়ে হাসপাতাল সুপারকে ফোন করা হলে, তিনি প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেছেন।
মালদাতেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই অক্সিজেন ট্যাঙ্কের ধারণ ক্ষমতা ২০ কিলো লিটার। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা রোগীদের জন্য ট্রমা ইউনিট চত্বরে এই অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই অক্সিজেন ট্যাঙ্ক বসানোর পর হাসপাতালে করোনা বেডের সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
কালনা পুরসভার বিরুদ্ধে যত্রতত্র পিপিই কিট ফেলে রাখার অভিযোগ। কালনা পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে তৈরি হয়েছে করোনা রোগীদের সেফ হোম। চিকিত্সা পরিষেবা পরিচালনার দায়িত্বে কালনা পুরসভা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাস স্ট্যান্ড চত্বরে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পিপিই কিট। সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, নিষেধ সত্ত্বেও ফেলা হচ্ছে পিপিই কিট। এনিয়ে পুর কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮ জন সহকারী সুপারের মধ্যে ৫ জনই করোনা আক্রান্ত। সকলের একসঙ্গে রিপোর্ট পজিটিভ আসায় পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত চিকিত্সকরা সকলেই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছিলেন।
রোজ সকালে গোমূত্র পান করলে করোনা কেন, করোনার থেকে বড় মহামারীও ক্ষতি পারবে না। এমনই আজব পরামর্শ উত্তর প্রদেশের বালিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুরেন্দ্র সিংহের। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এবিপি আনন্দর খবরের জের। সল্টলেকের করুণাময়ী আবাসন থেকে সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল করোনা রোগীর দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৮৪ বছরের গীতা কুমার করোনায় আক্রান্ত হন। গতকাল সন্ধে ৬টা নাগাদ বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত। অভিযোগ, বিধাননগর পুরসভা, বিধাননগর পূর্ব থানা ও স্বাস্থ্য ভবনে জানানো সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ আবাসনের ফ্ল্যাটেই পড়েছিল ওই করোনা রোগীর দেহ। আজ সকালে এবিপি আনন্দে এই খবর সম্প্রচারিত হয়। সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর, অবশেষে ওই করোনা রোগীর দেহ উদ্ধার করে বিধাননগর পুরসভা। দেহ উদ্ধারে গড়িমসির অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
পানাগড় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অমিল ভ্যাকসিন। হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। রবিবার সকালে দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসে ভ্যাকসিন না থাকার বিজ্ঞপ্তি দেখে অনেকেই ফিরে যান। কবে ভ্যাকসিন মিলবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ভ্যাকসিনের জোগান অনুযায়ী টিকাকরণ হচ্ছে।
করোনা-যুদ্ধে সামিল হতে আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতায় পাড়ি দিলেন ১৩ জন করোনা-জয়ী। জেলা প্রশাসন সূত্রে দাবি, বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণ যখন লাগামছাড়া, তখন আলিপুরদুয়ারে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জেলাজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন করোনা-জয়ীরা। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এরপরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে করোনা-যোদ্ধা হিসেবে এই করোনা-জয়ীদের কলকাতায় পাঠাতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল বাসে চড়ে কলকাতায় রওনা দেন ১৩ জন করোনা-জয়ী। ধাপে ধাপে ৩০ জন করোনা-জয়ীকে আলিপুরদুয়ার থেকে কলকাতায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রীকে ফের চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। চিকিৎসা সরঞ্জামে আমদানি শুল্ক মকুবের আর্জি জানিয়েছেন মমতা। করোনার ওষুধে জিএসটি মকুবের আর্জি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিমতলা শ্মশানে করোনা আক্রান্ত নন এমন ব্যক্তির সত্কার ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখার নির্দেশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হবে সত্কার। সূত্রের খবর, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় চাপ বেড়েছে নিমতলা শ্মশানে। সেই কারণে বৈদ্যুতিক চুল্লি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ২ দিন করোনা আক্রান্ত নন এমন ব্যক্তিদের সত্কার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
করোনা রোগীদের চিকিত্সায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চরম অব্যবস্থার অভিযোগ। রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, রাধারানি মহতাব ব্লকে কোভিড ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কর্মীদের উদাসীনতায় সমস্যায় পড়ছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। চিকিত্সা পরিষেবাতেও গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
বেলাগাম করোনা সংক্রমণের জেরে বাড়ছে বেড-সঙ্কট। এই পরিস্থিতিতে বেলুড় শিল্পমন্দিরে সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন সারদা পীঠ। ৫০ বেডের এই সেফ হোমে থাকতে পারবেন উপসর্গহীন অথবা মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীরা। করোনা আবহে আপাতত বন্ধ বেলুড় শিল্পমন্দির। সেই কারণেই আগামী ৬ মাসের জন্য পলিটেকনিক কলেজ ক্যাম্পাস চত্বরে সেফ হোম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য চিকিত্সক, স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৫টা হাসপাতালে তৈরি হবে ৬টা অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এর মধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ২টো অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হবে। এছাড়া, খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল, ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল ও শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তৈরি হবে ১টি করে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। এর ফলে জেলায় অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই মিটবে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যে পৌঁছল ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়া হবে বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দু’ রকম ভ্যাকসিনের বরাত দেয়। সেই অনুযায়ী আজ রাজ্যে এল ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। এর আগে ৫ মে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রের পাঠানো ৫ লক্ষ ডোজ।
করোনা রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। রোগীর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ। অক্সিজেনের অভাবেই মৃত্যু, দাবি পরিজনদের। তদন্তের আশ্বাস মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।
করোনায় মৃত্যু হলে শর্তসাপেক্ষে দেহ সৎকারের অনুমতি পরিবারকে। মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। সরাসরি হাসপাতাল থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া যাবে। মৃতদেহ সৎকারের বিষয়টি দেখভাল করবেন নোডাল অফিসার। নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
প্রেক্ষাপট
রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা সংক্রমণ। করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে এই মুহূর্তে বঙ্গের দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ২০ হাজার ছুঁইছুঁই। শনিবার প্রকাশিত রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে পড়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। এই সময়পর্বে রাজ্যে একদিনে করোনায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একধাক্কায় ১ হাজার ৬৬ জন বেড়ে এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছে গেল ১ লক্ষ ২৫ হাজার ১৬৪ জনে। তবে করোনার কালো মেঘে ঢাকা আকাশে রয়েছে সোনালি আভাও। গত ২৪ ঘণ্টা সময়পর্বে রাজ্যে করোনাযুদ্ধ জয় করেছেন ১৮ হাজার ২৪৩ জন। যার ফলে এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনাকে জয় করা রাজ্যবাসীর শতকরা হার ৮৫.৮৯ শতাংশ।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টা সময় ব্যবধানে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা হয়েছিল ৬৩ হাজার ৩৭৭ জনের। যার মধ্যে ১৯ হাজার ৪৩৬ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুধু কলকাতাতেই সংক্রমিত ৩ হাজার ৯৬১, ৩৪জনের মৃত্যু। উঃ ২৪ পরগনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৯৮২, ৩৯জনের মৃত্যু। পঃ মেদিনীপুরে একদিনে আক্রান্ত ৭৮৬ জন, ৫জনের মৃত্যু।
হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হুগলি, বীরভূমের মতো জেলাতেও ক্রমশ আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টা হাওড়ায় সংক্রমিত ১ হাজার ১৯৬, মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় সংক্রমিত ৯৬২ জন, মৃত্যু ৭ জনের। হুগলিতে ৯৪৭ জন সংক্রমিত, মৃত ৯ জন। বীরভূমে ৭৮৫ জন সংক্রমিত। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -