কলকাতা: বুধবার সকালে রাজভবনে গিয়ে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছে বড় চমক। কোভিড প্রোটোকল মেনে হতে চলা ছোট শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে রাজভবনে ডাক পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনটাই সূত্রের খবর।


জানা গিয়েছে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৫৫ মিনিটের ছোট শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সকাল পৌনে এগারোটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনে পৌঁছনোর কথা। সকাল ১০টা ২৫ মিনিট নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর ও ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়ি থেকে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে পৌঁছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের পর অল্প সময়ের জন্য চা চক্রে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। যে পর্বের শেষে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের একবার তাঁর নবান্নে পা রাখার কথা সকাল ১১ টা ২৫ মিনিটে। বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন রাজ্যের সদ্য নির্বাচিত বিধায়করা।


বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল নেতার পাশাপাশি আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, মনোজ টিগ্গা, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান প্রমুখ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্যের মতো নেতারাও আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, তাদেরকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।


শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় সবথেকে বড় চমক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের কিছুদিন আগে যার রাজ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া-না দেওয়া নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য। শেষপর্যন্ত মহারাজ অবশ্য নিজে কিছু বলেননি সেই পর্বে। এবারও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না তা নিয়ে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।


বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে। বিজেপি তাঁকে তাদের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চায় বলেই জল্পনা চরমে উঠেছিল। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো বটেই এমনকি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকেও যে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বারবার সৌরভ রাজনীতিতে যোগ দিতে চাইলে তাঁকে স্বাগত বলে জল্পনার পারদ উস্কে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সৌরভ অসুস্থ হয়ে পড়ায় অবশ্য সে সব জল্পনায় ইতি পড়ে।