নয়াদিল্লি: বর্ষবরণের রাতে অনলাইন কেনাকাটার বহর। রেস্তরাঁ থেকে খাবার, পানীয় অর্ডার হল না শুধু, খুঁটিনাটি জিনিসপত্রও অনলাইন অর্ডার করলেন দেশবাসী। বর্ষবরণের রাতে সবচেয়ে বেশি কী বিকোল, তার তালিকা সামনে এনেছে Swiggy Instamart, Blinkit-এর মতো সংস্থা। সেই তালিকায় স্ন্যাক্স থেকে পানীয়, উদযাপনের সামগ্রী, এমনকি একান্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জিনিসপত্রও রয়েছে। (New Year's Eve Online Orders)
জানা গিয়েছে, বর্ষবরণের রাতে অনলাইন পণ্য সরবরাহ সংস্থাগুলির অ্যাপের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বিকিয়েছে আঙুর। হু হু করে বিক্রি হয়েছে কন্ডোম, এমনকি হ্যান্ডকাফ বা হাতকড়াও। ভারতের নাগরিকরা যে ক্রমশ অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলির অ্যাপের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন, বর্ষবরণের রাতে আবারও তার প্রমাণ মিলল বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। (New Year's Eve E-Commerce)
Blinkit-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অলবিন্দর ঢীন্ডসা জানিয়েছেন, তাঁদের অ্যাপে সবচেয়ে বেশি আঙুর বিকিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আঙুরের অর্ডার বেড়ে যায়। অলবিন্দর বলেন, "রোজকার যা বিকোয়, তার চেয়ে সাত গুণ বেশি আঙুর বিকিয়েছে।" বর্ষবরণে আঙুর কেনার চল আজকের নয়। ১৯ শতকের স্পেন থেকে এই রীতির সূচনা। বর্ষবরণে আঙুর কিনলে নতুন বছরে সমৃদ্ধি আসে বলে মনে করা হয়।
রাত যত বাড়ে, বর্ষবরণের উদযাপনও তত বাড়ে। বর্ষবরণের রাতে চিপস, সোডাও বিকিয়েছে হু হু করে। আলু ভুজিয়া, বরফের টুকরো, লিপস্টিক, লাইটারও বিক্রি হয়েছে। অলবিন্দর জানিয়েছেন, বর্ষবরণের রাতে যে জিনিস বিক্রি হবে বলে ভাবতেও পারেননি তিনি, পুরুষদের সেই অন্তর্বাসও বেশ ভাল বিক্রি হয়েছে। বর্ষবরণের রাতে ১০টার আশেপাশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মিনারেল ওয়াটার, কন্ডোম, Eno এবং পাতিলেবুও।
Swiggy Instamart জানিয়েছে, সন্ধের দিকে তাদের অ্যাপে দুধ, চিপস, চকোলেট, পনির এবং আঙুরের অর্ডার আসে। কোল্ডড্রিঙ্ক, নাচোজ, পার্টির সরঞ্জামের অর্ডার বেড়ে যায় ৩০০ শতাংশ। ৫ লক্ষ চিপসের প্যাকেট বিক্রি হয়েছে। সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফণী কিষাণ জানিয়েছেন, প্রতি আটটি অর্ডারের একটিতে কোল্ডড্রিঙ্ক ছিল। কোলার বিক্রি ৩৯৪ শতাংশ বেড়ে যায়। ক্লিয়ার সফ্ট ড্রিঙ্কসের বিক্রি বাড়ে ৯৪১ শতাংশ, নন অ্যালকোহলিক ড্রিঙ্কসের বিক্রি বাড়ে ১৫৪১.৭২ শতাংশ। গেমস, পাজলসের বিক্রি ৬০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায় বর্ষবরণের রাতে।