নয়াদিল্লি: যদি এই ১০টি ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন, তবে জানতেই হবে, ব্যাঙ্কগুলি মিশে গেলে আপনার সুবিধে না অসুবিধে, কোনটা হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ ঘোষণা করতে চলেছেন যে এই ১০টি ব্যাঙ্ক মিশে যাচ্ছে ৪টি বড় রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে, পয়লা এপ্রিল থেকে। ২০১৭-য় দেশে সরকারি ব্যাঙ্কের সংখ্যা ছিল ২৭, এই মিশে যাওয়ার ফলে তা কমে দাঁড়াচ্ছে ১২-য়।


এ মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই ১০টি ব্যাঙ্কের ৪টি বড় ব্যাঙ্কে মিশে যাওয়ায় সম্মতি দিয়েছে। শোনা যাচ্ছিল, করোনা সংক্রমণের ফলে কেন্দ্র এই ব্যাঙ্কের মিশে যাওয়া সংক্রান্ত প্রক্রিয়া কিছুদিন পিছিয়ে দিতে পারে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তা আগের ঘোষণামত আগামীকাল অর্থাৎ ১ তারিখই হতে চলেছে। এবার দেখে নেওয়া যাক, এই ব্যাঙ্ক মিশে যাওয়ায় একজন গ্রাহক হিসেবে আপনাকে কী পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হবে

ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স আর ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মিশে যেতে চলেছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে। এই মিশে যাওয়ার পর পিএনবি হয়ে যাবে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক। আবার সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক মিশে যাবে কানাড়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে, এটি হয়ে উঠবে চতুর্থ বৃহত্তম সরকারি ব্যাঙ্ক, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক মিশে যাবে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের সঙ্গে। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আবার যুক্ত হচ্ছে অন্ধ্র ব্যাঙ্ক আর কর্পোরেশন ব্যাঙ্কের সঙ্গে।

যদি এই মিশে যেতে চলা ব্যাঙ্কগুলির কোনটিতে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে যে ব্যাঙ্কে আপনার ব্যাঙ্ক মিশতে চলেছে, তাতে আপনি গ্রাহক হিসেবে পরিচিত হবেন। আপনার অ্যাকাউন্ট নাম্বার, আইএফএসসি, এমআইসিআর, ডেবিট কার্ড ইত্যাদি যেমন চলছিল তেমনই চলবে আগামী নোটিস না আসা পর্যন্ত। যেমন পরিষেবা পাচ্ছিলেন, তেমনই পাবেন। হ্যাঁ, পরে সম্ভবত নতুন অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাবেন আর কাস্টমার আইডি।

অটো ক্রেডিট বা ডেবিট নিয়েও চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই, কারণ বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনে ওই আইএফএসসি কোড সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নাম্বার ব্যবহার করেছেন আপনি। যদি না মূল ব্যাঙ্কের আর্থিক ব্যবস্থায় আপনার অ্যাকাউন্ট মিশে যাওয়ায় কোনও সমস্যা না হয় তাহলে ডিভিডেন্ডের অটো ক্রেডিট, স্যালারির অটো ক্রেডিট, বিলের অটো ক্রেডিট-এ সহ আটকাবে না।

যদি ফিক্সড বা রেকারিং ডিপোজিট রেট নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন, তবে চিন্তা করা বন্ধ করুন। ম্যাচিওরিটির সময় না আসা পর্যন্ত বর্তমান সুদের হারই চলবে। ফিক্সড ডিপোজিটের ক্ষেত্রে মিশে যাওয়া ব্যাঙ্কের সর্বশেষ টার্ম ডিপোজিট রেটেই পুনর্নবীকরণ হবে।

এখনকার ক্রেডিট আর ডেবিট কার্ড চলবে কিনা তা নিয়েও চিন্তা নিষ্প্রয়োজন। ক্রেডিট কার্ডে যে এক্সপায়ারি ডেট লেখা আছে সেটা না আসা পর্যন্ত কার্ড বহাল থাকবে। এরপর যে ব্যাঙ্কে আপনার ব্যাঙ্ক মিশে যাচ্ছে, তার থেকে নতুন ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করুন।