কলকাতা: সুদর্শন সবে মাধ্যমিকের দরজা পেরিয়েছে। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা বছর ১৬-র ছেলেটির। বাবা-মায়ের স্বপ্ন, নিজেরও ইচ্ছে অধ্যাপক হবে। কিন্তু সেজন্য তো ভাল রেজাল্ট করতে হবে। শেলি, কিটস, বায়রন, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, ব্রাউনিং, ম্যাথু আর্নল্ড, শেকসপিয়ারদের লেখা পড়তে, হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। মাধ্যমিকে ভাল মার্কসের সুবাদে কলকাতার এক নামী কলেজে ভর্তিও হয়েছে সে। কিন্তু নোভেল করোনাভাইরাস অতিমারী, লকডাউন-মাত্র কয়েক মাস আগের অচেনা শব্দগুলি জীবনে ছন্দপতন ঘটিয়ে দিল। চেনা জীবনের ছবিটা বদলে গেল হঠাত্ করেই। স্কুল-কলেজ বন্ধ। প্রাইভেট কোচিং ক্লাসও বন্ধ। ভরসা স্কুলের অনলাইন ক্লাস। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। তার বাড়ি যে এলাকায়, সেখানে বড় সমস্যা মোবাইল নেটওয়ার্কের। এই কানেক্টিভিটি আছে, তো এই চলে যায়। সেদিন শেলির ‘ওড টু দি ওয়েস্ট উইন্ড’ এর ব্যাখ্যা করছিলেন স্যার, মাঝপথেই ঝপ করে সব বন্ধ হয়ে গেল। নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন। রোজই এক সমস্যা হচ্ছে। বিরক্ত হয়ে সুদর্শন ভাবছিল, কী করা যায়। আচমকা মনে পড়ে গেল টিভি-তে দেখা বিজ্ঞাপনটা। এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের বিজ্ঞাপনে ঝকঝকে ছেলেটি বলছিল, কীভাবে দিনরাত ওদের প্রতিনিধি খদ্দেরদের সমস্যা শুনে সমাধানের চেষ্টা করেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। সঙ্গে সঙ্গে সে ফোন করল এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারে। ওপ্রান্তে যিনি ফোন ধরলেন, তিনি মন দিয়ে পুরোটা শুনলেন। সুদর্শন তাঁকে জানাল, পড়াশোনা ঠিকঠাক হচ্ছে না। এমন হলে গোটা সিলেবাসটাই হয়ত অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এদিকে আজ না হোক কাল স্কুল খুললেই যে কোনও দিন পরীক্ষার সূচি ঘোষণা হতে পারে। তখন সে কী করবে? এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি বললেন, চিন্তা নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপর যা ঘটল, তাতে বিস্মিত, মুগ্ধ হয়ে গেল সুদর্শন। সে যেদিন ফোন করেছিল, তার ঠিক পরদিনই দেখা গেল, তার পাড়ায় হাজির এয়ারটেলের প্রযুক্তি শাখার কর্মীরা। দিনরাত কাজ করে জরুরি ভিত্তিতে বুস্টার বসালেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়ে গেল কানেক্টিভিটি। মসৃণ, অবাধ। অনলাইন ক্লাসে একদিনের জন্যও কোনও সমস্যায় হয়নি তারপর থেকে। মাথা থেকে দুশ্চিন্তার বোঝাটা নেমে গেল। তারপর একদিন এয়ারটেল এক্সিকিউটিভের ফোন পেল সে। ‘কেমন চলছে?’ ‘সব ঠিক আছে তো?’ কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা খুঁজে পেল না সুদর্শন। ভিসি-তে ক্লাস করার স্কিনশট তুলে ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁকে পাঠিয়ে দিল। মনে মনে বলল, ভাগ্যিস, এয়ারটেল ছিল! নইলে কী যে হত!