জলপাইগুড়ি: তরাই-ডুয়ার্সে বিমল গুরুঙ্গকে ঢুকতে না দেওয়া বলে সাফ জানিয়ে দিল ভারতীয় মূল নিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। এদিকে ওদলাবাড়ির সভামঞ্চ থেকে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হিসেবে এক নেপালি যুবকের নাম প্রস্তাব করেন গুরুঙ্গ। বিকাশ পরিষদের অভিযোগ, ফের শান্তি নষ্টের চেষ্টা করছেন গুরুঙ্গ। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই বলে পাল্টা দাবি করেছেন বিমল গুরুঙ্গ।


শনিবারই অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নাগরাকাটার তৃণমূল বিধায়ক সুকরা মুন্ডা। এই প্রেক্ষাপটেই আগামী নির্বাচনে নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে বিমল গুরুং আর ভারতীয় মূল নিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সংঘাত শুরু হয়েছে। এদিকে শুক্রবার ওদলাবাড়িতে সভায় বিমল গুরুঙ্গ, নাগরাকাটা বিধানসভা কেন্দ্রে সনম লামা নামে নেপালি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে তৃণমূলের টিকিট দেওয়ার জন্য সওয়াল করেন।

ভারতীয় মূল নিবাসী আদিবাসী বিকাশ পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজেশ লাকড়া বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটা ক্ষোভ আছে। বিমল গুরুঙ্গ প্রার্থী ঘোষণা করেছে সনম লামার নাম। তরাই ডুয়ার্সে সাঁওতালী, কামতাপুরী, বরাইক, বাঙালিদের বসবাস। কীভাবে নাম ঘোষণা করলেন তিনি। এর প্রতিবাদে বিমলকে কোথাও সভা করতে দেব না।

সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীপদ প্রসঙ্গে সাবধানী অবস্থান নিয়েছে জেলা তৃণমূল। জলপাইগুড়ির তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ইতিহাস যেটা বলছে ১৯৫২ থেকে নির্বাচনে আদিবাসীদের মধ্যে থোকেই কাউকে বিধায়ক করা হয়েছে। দল ঠিক করবে কাকে তারা প্রার্থী করবে। প্রার্থীর নাম তৃণমূল নেত্রীকে পাঠানো হয়েছে। উনি প্রস্তাব করতে পারেন। দল জানে আদিবাসীই প্রার্থী হবে। গুরুঙ্গ ইস্যুতে ফের তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতির দাবি, ভোট ব্যাঙ্কের জন্য দেশদ্রোহীকে কাজে লাগাচ্ছেন মমতা। মানুষ এর বিচার করবে।

পরিসংখ্যান বলছে, নাগরাকাটা কেন্দ্রে তফশিলি উপজাতি এবং আদিবাসী ভোটার ৭০ শতাংশেরও বেশি। গত বিধানসভা ভোটে নাগরাকাটা দখল করে তৃণমূল। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে নাগরাকাটায় তৃণমূলের চেয়ে ৫০ হাজার ২৪৪ ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। এরই মধ্যে আদিবাসী অধ্যুষিত এই বিধানসভায় প্রার্থীপদ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমশ চড়ছে।