নয়াদিল্লি: দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় এই প্রথম মহিলাদের নিয়োগ করল ভারতীয় সেনা। ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে ও প্রয়োজনে যুদ্ধ ক্ষেত্রেও লড়াই করবেন তাঁরা।

অসম রাইফেলসের আধাসামরিক বাহিনীর প্ল্যাটুন থেকে মহিলা সেনানীদের নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তর কাশ্মীরের তাংধার সেক্টরে ৩০ জনের মহিলা দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন ক্যাপ্টেন গুরসিমরন কউর। নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন চেকপোস্টে মোতায়েন করা এক মহিলা সেনা অফিসারের কথায়, ‘‘সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র ও মাদক পাচার হয়। চলে নারী পাচারও। এই পাচার ঠেকাতে ও ভিড় হঠাতে কাজ করবেন মহিলা সেনা অফিসাররা।’’ এতদিন পর্যন্ত শুধু অফিসার পদে মহিলা নিয়োগ করত ভারতীয় সেনা। কিন্তু তা ছিল বেশ কম। পদাতিক বাহিনী, যুদ্ধ ক্ষেত্র, সাঁজোয়া বাহিনী, যন্ত্রনির্ভর বাহিনীতে মহিলাদের স্থান ছিল না। ছবিটা পাল্টায় ২০১৯ সালে। সেবারই প্রথম সামরিক বাহিনীতে মহিলা নিয়োগে সম্মতি জানায় ভারতীয় সেনা। প্রথম পর্বে ৫০জন মহিলাকে নিয়োগ করা হয়, যাঁরা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।

 একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মোট ৮০০ জন মহিলা নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। ফি বছর ৫০ জন করে নিয়োগ করা হবে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি সহ অপরাধমূলক ঘটনার তদন্তে সেনাবাহিনীর মহিলা অফিসারদের কাজে লাগানোর ভাবনা রয়েছে সেনার।সেই সঙ্গে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ভাবমূর্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রেও তা সহায়ক হবে

এক সেনা অফিসার বলেন, ‘‘সীমান্তে (ফরওয়ার্ড এরিয়া) মহিলাদের দরকার। পাচার রোখার কাজেও তাঁদের প্রয়োজন হয়। কারণ সীমান্ত এলাকায় বহু সময় পুলিশ থাকে না। যতক্ষণ না সামরিক বাহিনীর মহিলারা কাজে যোগ না দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত অসম রাইফেলসের মহিলা সেনানীদের আমরা সেই দায়িত্বে রেখেছি।’’ ভারতীয় সেনায় মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি দেরিতে হলেও, এই বিষয়ে সবার প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল ত্রিপুরা সরকার। তাদের আধাসামরিক বাহিনীতে স্থান পেয়েছিলেন মহিলারা।

 রূপান্তরিতদের আগেই বাহিনীতে জায়গা দিয়েছিল সেনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, বিএসএফ, সিআরপিএফ, এসএসবিতেও গুরুত্বপূর্ণ পদ মহিলাদের নিয়োগ করা হবে। ২০১৮ সালে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সেনাবাহিনীতে কমিশনড পদে মহিলাদের নিয়োগে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে শর্ট সার্ভিস কমিশনে ১০-১৪ বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ পান মহিলারা। পরিষেবা বিভাগ, অস্ত্র কারখানা, শিক্ষা ও বিচার বিভাগ, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল, গোয়েন্দা এবং ইলেকট্রিক্যাল এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মহিলারা কাজের সুযোগ পান