লন্ডন: সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের জন্য ২০২৪ এর শেষ অবধি যথেষ্ট সংখ্যক করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভ্য়াকসিনের ব্য়বস্থা হবে না। এমনই জানালেন আদর পুনাওয়ালা। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ভ্য়াকসিন নির্মাতা সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (সিআইআই) চিফ এক্সিকিউটিভ হিসাব কষে দেখিয়েছেন, যদি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দিতে হয়, তবে সারা পৃথিবীর সব লোকের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডোজ। এটা মাথায় রেখে তিনি বলেছেন, এই গ্রহের সব বাসিন্দার ভ্যাকসিন পেতে পেতে ৪-৫ বছর লেগে যাবে।
পুণের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাটি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরি করতে অ্যাসট্রাজেনেকা ও নোভাভ্য়াক্স সমেত ৫টি আন্তর্জাতিক ওষুধ কোম্পানির শরিক হয়েছে। ১০০ কোটি ডোজ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। এর অর্ধেক তারা ভারতের জন্য বরাদ্দ রেখেছে বলেও জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন আগামী বছরের গোড়ায় করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন এসে যাবে বলে গতকাল জানিয়ে বলেছেন, সামনের বছরের প্রথম ত্রৈমাসিক নাগাদ হয়তো ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। আর পরদিনই এই অভিমত জানালেন পুনাওয়ালা।
সিরামের ১০০ কোটি ডোজ তৈরির প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে তিনি জানান, অন্য ভ্যাকসিন নির্মাতাদের তুলনায় তাঁদের ক্ষমতা অনেক বেশি। বলেন, আমি জানি, গোটা বিশ্ব আশা রাখতে চাইছে, কিন্তু আমি শুনিনি এখনও পর্যন্ত আমাদের টার্গেটের ধারেকাছে কেউ রয়েছে।
ব্রিটিশ ব্যবসা সংক্রান্ত সংবাদপত্র দি ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর খবর, অ্যাসট্রাজেনেকার সঙ্গে বোঝাপড়া অনুসারে সিরাম ৬৮টি দেশের জন্য় এমন ভ্য়াকসিন বানাতে চায় যার প্রতি ডোজের দাম পড়বে প্রায় ৩ ডলার। ৯২টি দেশের জন্য় নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে হওয়া তাদের চুক্তি অনুসারে একই দাম পড়বে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের। এমনকী সিরাম স্পুটনিক ভ্যাকসিন বানাতে রাশিয়ার গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও হাত মেলাতে পারে বলে দাবি করেছে সংবাদপত্রটি।
গত সপ্তাহেই ব্রিটেনের এক অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় অ্যাসট্রাজেনেকা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল বা মানবশরীরে প্রয়োগ স্থগিত রাখে। সিরামও ভারতে ট্রায়াল সাময়িক বন্ধ রাখে ড্রাগ কন্ট্রোলার অব ইন্ডিয়া তাদের কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়ায়। যদিও ব্রিটেনে ট্রায়াল ফের শুরু হয়েছে।