নয়াদিল্লি: চলতি বছর বিশ্ব তামাক-বিরোধী দিবসের প্রচারে শিশু ও যুবসম্প্রদায়কে শোষণের হাত থেকে বাঁচানোর ওপরই জোর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।


প্রতি বছর ৩১ মে পালিত হয় বিশ্ব তামাক-বিরোধী দিবস। হু-র সদর দফতর জেনিভায় "নো টোবাকো" প্রচারের আহ্বায়ক বিনায়ক মোহন প্রসাদ জানান, ফি বছর ৮০ লক্ষ মানুষ তামাক সেবনের জন্য মারা যান। এর মধ্যে ভারতে অসময়ে মারা যান প্রায় ১০ লক্ষ। ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী ভারতীয় যুবাদের ১৪.৬ শতাংশ কোনও না কোনও ধরনের তামাক সেবন করে থাকে। এটা একটা গুরুতর সমস্যা। তিনি বলেন, ৪২ শতাংশ পুরুষ ও ১৪ শতাংশ মহিলা মিলিয়ে মোট তামাক সেবনকারীর সংখ্যাটা প্রায় ২৬.৬ কোটি। এটা তো একটা বড় সমস্যা বটে।


প্রসাদের মতে, তামাক সেবন ত্যাগ করলে ক্যান্সার, কার্ডিও-ভাস্কুলার রোগ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ডায়াবেটিস রোখা সম্ভব। তিনি মনে করিয়ে দেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ক্ষেত্রে এই রোগগুলিই প্রধানত কো-মর্বিডিটির ভূমিকা পালন করেছে। কিছু কায়েমি স্বার্থ থাকা গোষ্ঠী, কৃষকদের সংগঠন ও তামাক শিল্পের থেকে তামাক-শিল্পের সমর্থনে জোর লবি হওয়া সত্ত্বেও এখন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু করা উচিত। বিশেষ করে, কিছু রাজ্যে তা ঠিকমতো কাজ করছে না।


প্রসাদের মতে, তামাক সেবনের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরে সচেতনতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। টিভি ও ছবিতে তামাকের ব্যবহার সংক্রান্ত সতর্কতা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ভীষণই ভাল কাজ হচ্ছে ভারতে। কিন্তু, ডিজিটাল স্ট্রিমিং পরিষেবা সরকারের জারি করা নিয়ম ভেঙেই চলেছে। এটা ঠিক হওয়া দরকার।