সিডনি: তিনটি পা নিয়ে জন্মেছিল মেয়েটি। ভ্রূণাবস্থায় তার শরীরের ভেতরেই বেড়ে উঠছিল যমজ, জন্মায়নি, দিয়ে গিয়েছে একটি পা। তিন পায়ের মেয়েটিকে বাংলাদেশের ডাক্তাররা বলেছিলেন, বাঁচবে না। অস্ট্রেলিয়ায় নতুন জীবন পেয়েছে সে।

৩ বছরের চৈতি খাতুনের বাড়ি ঢাকার বাইরের এক গ্রামে। তার শ্রোণীর মধ্যে বেড়ে উঠছিল যমজ ভাই বা বোন। তারই একটি পা বেরিয়ে এসেছিল চৈতির শরীর থেকে। বাংলাদেশি চিকিৎসকরা সেটা খানিকটা কেটে বাদ দেন। তারপর গত বছর অস্ট্রেলীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চিলড্রেন ফার্স্ট ফাউন্ডেশন তাকে নিয়ে আসে সিডনিতে।

প্রচণ্ড অপুষ্টিতে ভোগা মেয়েটি হাঁটতেই পারত না তখন। চিকিৎসকরা দেখেন, তার মলদ্বার, যৌনাঙ্গ, জরায়ু- সবই দুটি করে।

তারপর থেকে মেয়েটিকে নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, মাসের পর মাস কাটান স্থানীয় মোনাস চিলড্রেনস হসপিটালের চিকিৎসক দল। ইউরোপ, আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বের ডাক্তারদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। শেষমেষ নভেম্বরে শ্রোণী ও যৌনাঙ্গ বিনির্মাণে পারদর্শী ৮জন চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচার করেন। তা চলে ৮ ঘণ্টা ধরে।

এখন চৈতি পুরোপুরি সুস্থ। হাঁটতে পারছে সে, দৌড়চ্ছেও। আগে মল মূত্রের বেগ সামলাতে পারত না, এখন তাও সম্ভব হয়েছে, যাতে অবাক চিকিৎসকরাই।

ছোট্ট মেয়েটি আংশিকভাবে অন্ধ কিন্তু হাসপাতাল জানিয়েছে, তার দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে হাঁটাচলা, জীবনযাপনে কোনও অসুবিধে নেই তার।

আজই তার অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে ফেরার কথা।