বেজিং: তিব্বতে ডেটা সংগ্রহকারী স্টেশনের আধুনিকীকরণের ফলে আপাতত ব্রহ্মপুত্র নদের হাইড্রোলজিক্যাল তথ্য ভারতের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল চিন। তবে, কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে সিকিমের নাথু লা গিরিপথকে খোলার বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে বেজিং।
২০০৬ সালে তৈরি হওয়া দ্বিপাক্ষিক বিশেষজ্ঞ-পর্যায়ের চুক্তি অনুযায়ী, গত (১৫ মে-১৫ জুন) বন্যার সময় সাতলেজ ও ব্রহ্মপুত্রের হাইড্রোলজিক্যাল তথ্য ভারতকে দেওয়ার কথা ছিল চিনের।
এদিন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শ্যুয়াং বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা নদী-সংক্রান্ত তথ্যের ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করে এসেছি। কিন্তু, চিনের দিকে তথ্য সংগ্রহ স্টেশনের আধুনিকীকরণ ও সংস্কার হওয়ার ফলে সেখানে তথ্য সংগ্রহ করার পরিবেশ নেই।
কবে সেই তথ্য ভারতকে দেওয়া হবে, সেই নিয়ে অবশ্য কোনও আশার বাণী শোনায়নি চিন। শ্যুয়াং জানিয়ে দেন, এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে। এর আগে গতমাসের ১৮ তারিখ, বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার জানান, এখনও পর্যন্ত চলতি বছরের তথ্য ভারতকে দেয়নি চিন।
প্রসঙ্গত, ব্রহ্মপুত্র নদ চিন, তিব্বত হয়ে ভারত ও বাংলাদেশ পৌঁছয়। ফলে, প্রতি বছর এই নদের হাইড্রোলজিক্যাল তথ্য ভারতকে দিয়ে থাকে চিন। এই তথ্য ভারত ও বাংলাদেশ – উভয় দেশের কাছেই অতি-গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে গোটা মরশুমে জলের পরিমাণ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। যা দিয়ে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে খরা ও বন্যা পরিস্থিতি রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদের জল-তথ্য ভাগ না করলেও, কৈলাস মানসসরোবর যাত্রার পুনরারম্ভ নিয়ে আশাবাদী চিন। শ্যুয়াং জানান, এই ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে আগ্রহী চিন। তিনি বলেন, বহু বছর ধরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের প্রয়োজনীয় সুবিধা দিয়ে এসেছে চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র স্বীকার করে নেন, ডোকালাম সংঘাতের জন্যই নাথু লা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।