বেজিং: সোমবার তাইওয়ানের প্রণালী অতিক্রম করল চিনের দুটি যুদ্ধবিমান । তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্রে চিনের যুদ্ধবিমানের এই গতিবিধি ধরা পড়েছে। মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধান আলেক্স আজারের তাইওয়ান সফর কালে চিনের এই সামরিক তত্পরতা বিশেষ তাতপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের বাড়তি উত্সাহকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না বেজিং। যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে তাই স্পষ্ট করে দিল চিন।
চিনকে বার্তা দিতে তাইওয়ানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে আমেরিকা। এমনকী অস্ত্র বিক্রিও বাড়াতে চায় আমেরিকা। তাইওয়ান সফরে গিয়েছেন মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধান আলেক্স আজার। চার দশকে এত বড় মাপের মার্কিন কর্তার তাইওয়ান সফর এই প্রথম। সোমবার সকালে বৈঠকে বসেন মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধান আলেক্স আজার ও তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাশাই ইং ওয়েন। অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করতে চায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আজার বলেছেন, ’’ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের সঙ্গে মজবুত সম্পর্ক চান, তাইওয়ানের পাশে আছেন। সেই বার্তা দিতে আমার এখানে আসা। এটা সত্যিই সম্মানের। ‘‘
এমনকী অতিমারি মোকাবিলায় তাইওয়ানের ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধান আজার। কোভি়ড ১৯ সামলাতে বিশ্বের অন্যতম সফল দেশের তালিকায় রয়েছে তাইওয়ান, মন্তব্য করেছেন মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধান। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টও জানিয়েছেন আজারের সফর অতিমারি বিরোধী লড়াইয়ে দু-দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে।
কিন্তু মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তার এই সফর মোটেও ভাল চোখে দেখছে না চিন। এমনিতেই চিনের দাবি তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ড। সেই তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিনি সখ্যের বিরুদ্ধে বার্তা দিতেই দু দেশের বৈঠকের ঠিক আগে জে ১১, জে ১০ যুদ্ধবিমান পাঠায় চিন। যদিও দুটি যুদ্ধবিমানকে ধরে ফেলে ভূমি থেকে্ আকাশে ছোঁড়া যুদ্ধবিমান ধ্বংসকারী ক্ষেপনাস্ত্র। এই নিয়ে তৃতীয়বার তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকল চিনা যুদ্ধবিমান। শেষবার ২০১৬ সালে এমনটা হয়েছিল।
তবে শুধু মার্কিন স্বাস্থ্য প্রধানের সফর নয়, আরও একটি বিষয়ে আমেরিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে তাইওয়ান। চিনের আপত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেমব্লি-র সদস্য হতে পারছিল না। এ ক্ষেত্রেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে।