নিউইয়র্ক : কোভিড-১৯ এর উৎসস্থল খুঁজে বের না করতে পারলে বিশ্বে আছড়ে পড়তে পারে আরও ভয়ানক কোভিডের ধাক্কা! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ রোগ বিশেষজ্ঞ এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, 'কোভিড-১৯ ঠিক কোথা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সেটা যদি উদ্ধার করা না সম্ভব হয় সেক্ষেত্রে বিশ্বে কোভিড-২৬ এমনকি কোভিড-৩২-এর ধাক্কাও নেমে আসতে পারে।' আর কোভিডের এই উৎস খুঁজে বের করার কাজে চিন সরকারের সাহায্য এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের একান্ত প্রয়োজন বলেও মত তাঁদের।


মার্কিন এক সংবাদসংস্থায় সাক্ষাৎকারের সময় চাঞ্চল্যকর দাবি সামনে এনেছেন টেক্সার চিলড্রেনস হসপিটাল ফর ভ্যাক্সিন ডেভেলপমেন্টের যুগ্ম অধিকর্তা পিটার হোটেৎজ। মার্কিন মুলুকের প্রখ্যাত রোগ বিশেষজ্ঞ পিটার বলেছেন, 'হুবাই প্রদেশে গিয়ে কোভিড-১৯ এর উৎস খুঁজে বের করাটা খুব দরকার। দাবি জানাব গোটা বিশ্ব থেকে এপিডেমোলজি ও ভাইরোলজি স্টাটিজের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে সেখানে গিয়ে কাজ করার ছাড়পত্র ও সবরকম সুযোগ করে দেওয়া হোক। ঠিক কোথা থেকে কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি সেটা খুঁজে বের করতে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।'


গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে চিন সরকারের সহযোগিতার অনুরোধও রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি যাতে আগের মতো ফের ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার বিতর্ক সামনে না উঠে আসে সেটা রুখতে পিটার হোটেৎজের সংযোজন, 'আমরা বিজ্ঞানী, গুপ্তচর নই।'


চিনের উহান প্রদেশে ২০১৯ সালের শেষে প্রথমবার কোভিড ধরা পড়েছিল বলেই সার্স-কোভ-২-র নামকরণ করা হয়েছিল কোভিড-১৯। মার্কিন মুলুকের আগের প্রশাসনের তথা ট্রাম্প সরকারের দাবি ছিল, হুবেই প্রদেশের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা ভাইরাস। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোভিডকে 'চিনা ভাইরাস' বলেও সম্বোধন করেছিলেন। যদিও যার তীব্র বিরোধীতা করা হয়েছিল চিনের তরফে। খারিজ করা হয়েছিল ল্যাব থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্ব।


যে বিষয়টি পরে চাপা পড়ে গেলেও ফের তা মাথাচাড়া দিচ্ছে মার্কিন মুলুকের এই ধরণের দাবিতে। ফাইজারের বোর্ড সদস্য স্কট গটিলিয়েব ফের দাবি করেছেন, চিনের উহানের ল্যাব থেকেই যে ছড়িয়েছিল সার্স-কোভ-২, সে সম্পর্কে অনেক তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প প্রশাসনের ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কমিশনার পদ আগে সামলেছেন স্কট গটিলিয়েব।