ইসলামাবাদ: সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার নীতি মেনে যথারীতি হিজবুল মুজাহিদিন নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিনের পাশে পাকিস্তান। গতকাল কাশ্মীরী জঙ্গি নেতাটিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে ভারতের ক্ষোভ নিরসনের চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমেরিকার পদক্ষেপকে 'চরম অন্যায়' আখ্যা দিয়েছে ইসলামাবাদ। যদিও সরাসরি হিজবুল জঙ্গি নেতার নাম সরাসরি করেনি।


মঙ্গলবার পাক বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, জম্মু ও কাশ্মীরে কাশ্মীরীদের জাতীয় সংগ্রাম চলছে। এই লড়াই ন্যায্য। কাশ্মীরীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি সমর্থন করা ব্যক্তিদের সন্ত্রাসবাদী বলাটা অত্যন্ত অন্যায়।

গতকাল নরেন্দ্র মোদী, ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠকের মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে হিজবুল নেতাকে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে মার্কিন বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানকে তাদের মনোভাব বুঝিয়ে দিলেও আজ ইসলামাবাদ জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীরের মানুষকে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার অর্জিত হয়, পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাশ্মীর বিতর্কেরও শান্তিপূর্ণ মীমাংসা হতে পারে।
একইসঙ্গে পাক মুখপাত্র জানান, পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও তার চেহারার মোকাবিলায় দীর্ঘদিনের দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে।

১৯৮৯ থেকে কাশ্মীরে শুরু হওয়া সন্ত্রাসবাদে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হলেও তাকে সমর্থন করে চলেছে পাকিস্তান। ভারতের অভিযোগ, কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদকে অস্ত্র, অর্থ দিয়ে পুষ্ট করছে পাকিস্তান। অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা পাকিস্তানের দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরে অত্যাচার চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী, তা সত্ত্বেও কাশ্মীরীরা মাথা নত করেননি।

এদিকে গতকালের মার্কিন পদক্ষেপ স্বাগত জানিয়ে আজ সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মেহর্ষি বলেন, সালাউদ্দিন কাপুরুষ, পাকিস্তানে পালিয়ে গেছে। তাঁর সংযোজন, আমেরিকা ঠিক করেছে। সালাউদ্দিন সন্ত্রাসবাদী। সেটাই বলেছে আমেরিকা। এর ফলে ওর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে, ওকে আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধে সুবিধা হতে পারে।

গতকালই ওয়াশিংটনে বিদেশসচিব এস জয়শংকর জানান, সালাউদ্দিনকে তকমা দিয়ে মার্কিন প্রশাসন এই বার্তাই দিল যে, তারা সব ধরনের সন্ত্রাসের অবসান ঘটাতে দায়বদ্ধ।