লন্ডন: বলাই বাহুল্য হিরের  (diamond) দাম প্রচুর। আর এজন্য দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো অনেকেই ঝুটো হিরের গয়না পরে থাকেন। ইংল্যান্ডের এক মহিলাও তাঁর আঙুলে পরতেন এমনই একটি আংটি। সবাই জানেন, আজকাল বাজারে এত বেশি নকল জিনিস আসে যে, আসল জিনিস চেনাই ভার হয়ে যায়। কখনও কখনও নকলকেই আসল বলে মনে হয়। কিন্তু এরইমধ্যে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটল ইংল্যান্ডে।  ইংল্যান্ডের ওই মহিলাও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ওই আংটি পরতেন। ভেবেছিলেন, তা নকল হীরের আংটি। সেজন্য তেমন যত্নআত্তি ছিল না আংটিটির। খোয়ানোর ভয়ও কখনও দানা বাঁধেনি তাঁর মনে। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি জানতে পারলেন, এটি নকল হীরের আংটি নয়। একেবারে আসল। আর দাম ২০ কোটি টাকা। এ কথা জানতে পেরে রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ওই মহিলা। 


আসলে ওই আংটি বেচতে নিয়ে ইংল্যান্ডের এক নিলামকারী সংস্থার কাছে গিয়েছিলেন।  সেখানে জানা গেল, ওই আংটির দাম  ২০,৪৫,২৮,৮০০ টাকা! আর তা জানতে পেরে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় মালকিনের। যে আংটিকে নকল ভেবে বেচতে এসেছিলেন, তারই দাম ২০ কোটি টাকার বেশি। এক অতি মূল্যবান হিরেকে তিনি নকল ভেবে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। 


নিলামকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত জুন মাসে তাঁরা ওই হিরে পেয়েছিলেন। সংস্থার আধিকারিকরাও প্রথমে ওই পাথরকে কিউবিক জারকোনিয়াই ভেবেছিলেন, যা হিরের মতোই দেখতে। তা ডিরেক্টরের অফিসে রাখা হয়েছিল। এরইমধ্যে সংস্থার এক কর্মীর তা দেখে একটু খটকা লাগে। তিনি ওই পাথর পরীক্ষা করে দেখার পরামর্শ দেন। আর নিলামকারী সংস্থা তা পরীক্ষা করে দেখে। আর পরীক্ষায় যা দেখা গেল, তাতে রীতিমতো থ হয়ে গেলেন নিলামকারী সংস্থার কর্মীরাও।  দেখা গেল, তা একেবারে আসল হিরে। পরে তা লন্ডন ও বেলজিয়ামের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়।  বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই হিরে ৩৪ ক্যারাটের।  


মালকিন  নিজের পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। আগামী ৩০ নভেম্বর ওই হিরের নিলাম হবে।  নিলামকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কবে ওই হিরের আংটি পেয়েছিলেন, তা মনে করতে পারেননি ওই মহিলা।  তিনি নিলামকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি ওই আংটি ফেলেই দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছু দাম পাওয়া যেতে পারে, এ কথা জানিয়ে তাঁর এক প্রতিবেশী নিলামকারী সংস্থার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।