বেজিং: দলাই লামা কার্ড ব্যবহার নিয়ে ভারতকে সতর্ক করল চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম। তারা ভারত সম্পর্কে বিভিন্ন শ্লেষাত্মক মন্তব্যও করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ভারত ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হওয়ার বড়াই’ করে বেড়ায়, ‘অবাধ্য শিশু’র মতো আচরণ করে। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, ভারতের মহান দেশ হয়ে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।কিন্তু ভারতের দর্শন খুবই ‘অদূরদর্শী’। এতে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে কীভাবে চিন মোকাবিলা করেছে, তা দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত ভারতের।
নিবন্ধতে বলা হয়েছে, তাইওয়ান নিয়ে ‘ওয়ান চায়না’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছিলেন ট্রাম্প। চিনের ধৈর্য্যের পরখ করতে এসে যা জবাব পেয়েছেন ট্রাম্প, তাতে তিনি নিঃসন্দেহে বুঝে গিয়েছেন যে, চিনের সার্বভৌম একতা ও জাতীয় সংহতি অলঙ্ঘণীয়।
যদিও নিবন্ধে এ ব্যাপারে চিন ঠিক কী এমন ব্যবস্থা নিয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলেন। একইসঙ্গে ওয়ান-চায়না নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এর প্রবল প্রতিবাদ করেছিল চিন। এর পাশাপাশি বিতর্কিত দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার একটি মানবহীন যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করে চিন।
মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় বসার আগে ওই ঘটনাকে চিনের শক্তি প্রদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে। পরে অবশ্য আমেরিকার প্রতিবাদের মুখে ওই ড্রোন ফিরিয়ে দেয় বেজিং।দক্ষিণ চিন সমুদ্রে মার্কিন সমীক্ষা জাহাজ পরিচালিত ওই ড্রোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিল চিনের নৌবাহিনী।
গ্লোবাল টাইমস-এর নিবন্ধে বলা হয়েছে, এ ধরনের স্পর্শকাতর সমস্যার ব্যাপারে চিনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর আগে আমেরিকাও দুবার ভাবে।
নিবন্ধটিতে কড়া ভাষায় দলাই লামা কার্ড ব্যবহার নিয়ে ভারতকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। গতমাসে চিনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও মঙ্গোলিয়া দলাই লামাকে সে দেশে আসার অনুমতি দিয়েছিল। এর পাল্টা হিসেবে চিন মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ জারি করে। ভারতে নিযুক্ত মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির সাহায্য প্রার্থনা করেন। মঙ্গোলিয়ার সাহায্যার্থে ভারতের এগিয়ে আসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ওই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নিবন্ধটিতে।
মঙ্গোলিয়া শেষপর্যন্ত চিনের চাপে নতিস্বীকার করে জানিয়েছে যে, তারা আর কখনও দলাই লামাকে সেদেশে আমন্ত্রণ জানাবে না।