দুবাই: ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পাঁচ বছর পূর্ণ হল সোমবার। আল-কায়দার প্রতিষ্ঠাতা না থাকলেও তাঁর জঙ্গি সংগঠনটি এখনও সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়নি। শক্তিক্ষয় হলেও মাঝেমধ্যেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে চলেছে একদা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা।


 

২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের গোপন অভিযানে লাদেনের মৃত্যু হয়। এরপরেই আল-কায়দার পতন শুরু হয়। মার্কিন সেনার হামলায় বহু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, অনেকে ধরাও পড়েছে। লাদেনের বদলে আল-কায়দার প্রধান হওয়া আয়মান আল-জাওয়াহিরির পক্ষে সংগঠন ঠিকমতো পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই ইরাকের আল-কায়দা জঙ্গিরা আইএসআইএস গঠন করে।

 

২০১৪ থেকে ইসলামিক স্টেটই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি সংগঠন হয়ে উঠেছে। ইরাক ও সিরিয়া দখল করার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়েছে আইএস। তাদের নৃশংসতা ও ধ্বংসের প্রবণতা আল-কায়দাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, আল-কায়দা এখন আর বিপজ্জনক জঙ্গি সংগঠন নয়।

 

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ভুল প্রমাণ করে গত বছরে প্যারিসে শার্লি এবদো কাণ্ড এবং পশ্চিম আফ্রিকায় হামলা চালিয়েছে আল-কায়দা। ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর মিডল ইস্ট পলিসির অধ্যাপক উইলিয়াম ম্যাককান্টস বলছেন, আইএস-এর দাপটে আল-কায়দা অনেকাংশে হীনবল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সিরিয়া ও ইয়েমেনে এখনও আল-কায়দার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এই জঙ্গি সংগঠন ফের শক্তি বাড়াচ্ছে।