২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিলের গোপন অভিযানে লাদেনের মৃত্যু হয়। এরপরেই আল-কায়দার পতন শুরু হয়। মার্কিন সেনার হামলায় বহু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে, অনেকে ধরাও পড়েছে। লাদেনের বদলে আল-কায়দার প্রধান হওয়া আয়মান আল-জাওয়াহিরির পক্ষে সংগঠন ঠিকমতো পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই ইরাকের আল-কায়দা জঙ্গিরা আইএসআইএস গঠন করে।
২০১৪ থেকে ইসলামিক স্টেটই বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি সংগঠন হয়ে উঠেছে। ইরাক ও সিরিয়া দখল করার পর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালিয়েছে আইএস। তাদের নৃশংসতা ও ধ্বংসের প্রবণতা আল-কায়দাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, আল-কায়দা এখন আর বিপজ্জনক জঙ্গি সংগঠন নয়।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ভুল প্রমাণ করে গত বছরে প্যারিসে শার্লি এবদো কাণ্ড এবং পশ্চিম আফ্রিকায় হামলা চালিয়েছে আল-কায়দা। ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর মিডল ইস্ট পলিসির অধ্যাপক উইলিয়াম ম্যাককান্টস বলছেন, আইএস-এর দাপটে আল-কায়দা অনেকাংশে হীনবল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সিরিয়া ও ইয়েমেনে এখনও আল-কায়দার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এই জঙ্গি সংগঠন ফের শক্তি বাড়াচ্ছে।