হিরোশিমা: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ। তাতে ভারত-ব্রিটেন শুল্কমুক্ত বাণিজ্যের পক্ষে সওয়াল করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। উদ্ভাবনী এবং বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উপর জোর দিলেন। একই সঙ্গে, কৌশলগত ভাবে পরস্পরের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মোদি (India Britain Relations)।
জি-৭ সম্মেলন উপলক্ষে এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন মোদি। রবিবার হিরোশিমা শহরে ঋষির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে নানা বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়। ট্যুইটারে সেই নিয়ে মোদি লেখেন, 'বাণিজ্যক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, উদ্ভাবনী, বিজ্ঞান এবং অন্য ক্ষেত্রেও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরস্পরের পাশে থাকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে'। (Free Trade Agreement)
এ দিন বিদেশমন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর করে তুলতে সম্মত হয়েছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এতে দুই দেশই লাভবান হবে বলে মত কূটনৈতিক মহলের।
ভারত এবং ব্রিটেনের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরি হলে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যেমন বৃদ্ধি ঘটবে, তেমনই সুযোগ বাড়বে কর্মসংস্থানের। শুল্কমুক্ত হলে বাণিজ্যের রাস্তা যেমন আরও প্রশস্ত হবে, তেমনই স্বল্প দামে একদেশ থেকে অন্য দেশে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে যাবে। এর আগে ৬ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে লন্ডনেও একদফা বৈঠক হয়। এ বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করছে ভারত। তাতে যোগ দিতে দিল্লিতে পা রেখেছিলেন ঋষিও। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন মোদি।
রবিবার হিরোশিমায় পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়ামেও যান মোদি। সেখানে ভিজিটর বুকে স্বাক্ষর করেন। নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে হিরোশিমার নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘও নিবেদন করেন।
জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপান গিয়েছেন মোদি। কিশিদাই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁকে। এ বার জাপানই ওই সম্মেলনের আয়োজন। এর আগে, শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাকরঁ, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলৎজ এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতারেসের সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদি। সেখানে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে খাদ্যের জোগান অব্যাহত রাখার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।