গোরধন ও কাইমখানির পরিবার সিন্ধের হাতুঙ্গো টাউনে বহু বছর ধরেই পাশাপাশি বাস করছিল। দুটি পরিবারের মধ্যে মেলামেশা, আদানপ্রদান ক্রমশঃ গভীর হয়। সেই সূত্রে গোরধনের মেয়ের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই বন্ধুত্ব হয় কাইমখানির ছেলে বিলালের। বড় হয়ে উঠতে উঠতেই দুজনের প্রেম হয়। ধর্ম আলাদা হলেও মেয়ে ছেলেবেলার বন্ধুকেই জীবনসঙ্গী করতে চায় জেনে বাধা দেয়নি গোরধনের পরিবার। মেয়েকে এজন্য ধর্ম বদলে ইসলাম গ্রহণে সম্মতি দেয় তারা।
আহমেদ সাঞ্জরানি নামে দুটি পরিবারেরই সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে, এমন একজন বলেছেন, তাঁরই বন্ধু কাইমখানির ছেলে বিলালকে মেয়ে বিয়ে করতে চায়, জানার পর খাতরি বন্ধুর পরিবারকে মিরপুরখাসে নিজের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। সেখানেই বিয়ের মন্ত্রপাঠ হয়। বিয়ের পর ছিল রিসেপশন। সেখানে বিভেদ ভুলে একই পংক্তিতে ভোজন সারেন দুই ভিনধর্মী পরিবারের আত্মীয়স্বজনরা।
পাকিস্তানে ঘরের মেয়েদের অপহরণ করে বলপূর্বক ধর্ম বদল করা হচ্ছে, হিন্দুদের এই অভিযোগ অনেকদিনের। হিন্দু জনপ্রতিনিধিরাও পাক আইনসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছেন। সেখানেই এবার ব্যতিক্রম ঘটতে দেখা গেল।