বেজিং: দ্বিতীয়বার চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম বয়কটের ইঙ্গিত দিল ভারত। ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও পাক-অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের উদ্যোগ নেওয়ায় প্রথম বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামও বয়কট করেছিল ভারত। এবারও সেই পথেই হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রী। তিনি চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সব দেশের সার্বভৌমত্ব, সমতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে তবেই যে কোনও সংযোগব্যবস্থা করা উচিত। যে উদ্যোগে নিজেদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা উপেক্ষিত হয়, তাতে কোনও দেশই যোগ দিতে পারে না।’


সম্প্রতি চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, আগামী মাসে প্রথমবারের চেয়ে আরও বড় আকারে দ্বিতীয় বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম আয়োজন করতে চলেছেন তাঁরা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা এক্ষেত্রে মতামত গোপন করিনি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছি। অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণে সংযোগ বাড়ানোর পক্ষে ভারত। এ বিষয়ে আমরা অনেক দেশের সঙ্গেই কাজ করছি। তবে আমরা মনে করি, আন্তর্জাতিক নিয়ম, সুশাসন ও আইন মেনেই সংযোগব্যবস্থা চালু করা উচিত।’

ডোকলামে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-চিন কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। সম্প্রতি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দিয়েছে চিন। তা সত্ত্বেও অবশ্য চিনে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দাবি, দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে।