ওয়াশিংটন: আল-কায়দাকে অর্থ ও সুবিধা প্রদান করা এবং বিচারককে হত্যার ষড়যন্ত্র করার জন্য এক ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারকে ২৭ বছরের জেলের সাজা দিল একটি মার্কিন আদালত।
আল-কায়দাকে আর্থিক সহ বিভিন্ন উপাদান সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে ইয়াইয়া ফারুখ মহম্মদ নামে ওই ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই আল-কায়দা নেতা আনোয়াল আল-আওলাকির সঙ্গে যোগসাজস করে তার মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারককে হত্যা করার ষড়যন্ত্রও করেছে ইয়াইয়া।
গত জুলাই মাসে, ইয়াইয়ার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি জানান, সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের অভিযোগে জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই মার্কিন জেলা বিচারক জ্যাক জুহারিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইয়াইয়া।
মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জাস্টিন হার্ডম্যান জানান, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে এবং সন্ত্রাসে মদত দেবে, তাদের তিন দশক কারাবাস ভোগ করতে হবে। এটাই মার্কিন আইন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে তিন ভাইয়ের ইব্রাহিম জুবের মহম্মদ, আসিফ আহমেদ সেলিম এবং সুলতানে রুম সালিমের সঙ্গে গ্রেফতার হয় ইয়াইয়া। সকলের বিরুদ্ধে অর্থ জোগাড় করে আল-আওলাকিকে মদত করার অভিযোগ ওঠে।
মার্কিন প্রশাসন জানায়, আরব আমিরশাহিতে জন্ম নেওয়া ইয়াইয়া ২০০৯ সালে ইয়েমেনে আল-আওলাকির সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু, তাকে না পেয়ে ২২ হাজার মার্কিন ডলার এক সহযোগীকে দিয়ে আসে। ২০১১ সালে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহচ হয় আওলাকি। ইয়াইয়া দোষী সাব্যস্ত হলেও তার তিন ভাই এই মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হন।