রাষ্ট্রপুঞ্জ: সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আক্রমণের জবাবে পাল্টা ভারতের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করল পাকিস্তান। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭২-তম অধিবেশনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মালিহা লোধির দাবি, ভারতই দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের জন্মদাত্রী। আন্তর্জাতিক মহল যদি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিপজ্জনক সংঘর্ষ এড়াতে চায়, তাহলে নয়াদিল্লিকে প্ররোচনা আক্রমণাত্মক কার্যকলাপ থামাতে বলা উচিত। এই আক্রমণের জবাবে এখনও ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গতকাল সুষমা পাকিস্তানকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ভারত যখন আইআইটি, আইআইএম-এর মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করছে, পাকিস্তান তখন সারা বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ রফতানি করছে। লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির জন্ম দিয়েছে পাকিস্তান।

সুষমার এই আক্রমণের জবাবে পাক রাষ্ট্রদূত তাঁদের চিরকালীন অস্ত্র কাশ্মীর ইস্যুকে ব্যবহার করেছেন। লোধির দাবি, ভারতই সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিকে ব্যবহার করছে ভারত। বালুচিস্তানের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। দু’পক্ষ যদি সমস্যা মেটাতে না পারে, তাহলে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আন্তর্জাতিক মহলের শুধু হস্তক্ষেপ করার অধিকারই নেই, কর্তব্যের মধ্যেও পড়ে। আইনের মেয়াদ কোনওদিন ফুরিয়ে যায় না। নৈতিকতারও শেষ দিন বলে কিছু নেই। ভারত আইনি ও নৈতিক দায় এড়াতে পারে না।

পাক রাষ্ট্রদূতের আরও দাবি, সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞা ঠিক করা উচিত রাষ্ট্রপুঞ্জের। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকেও এর মধ্যে যুক্ত করা উচিত। ভারতের গুপ্তচর সংস্থাগুলি বালুচিস্তানে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এটা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারত বৃহত্তম ভণ্ড ও ফ্যাসিস্ট বলেও কটাক্ষ করেছেন লোধি। তাঁর দাবি, ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর সহ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে রাজি পাকিস্তান। তবে তার আগে ভারতকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে।