করাচি: ভারত যে সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন বিলিয়ন অর্থমূল্যের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পে অন্তর্ঘাত ঘটাতে চায়, কুলভূষণ যাদবের ঘটনাই তারই প্রমাণ। আর এ কারণেই ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণের বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যয়বিচার আদালতে লেগে রয়েছে পাকিস্তান।

পাক অভ্যন্তরীণমন্ত্রী আহসান ইকবাল এ কথা বলেছেন বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। তাঁকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদপত্রের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্প দুটি দেশের অভূতপূর্ব বন্ধুত্বের ফসল। কেউ তা বানচাল করতে পারবে না, প্রকল্পটি যে কোনও মূল্যে সফল করে তোলা হবে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে বলে গোড়া থেকেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনশিয়েটিভের অঙ্গ চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে ভারত।

৪৭ বছর বয়সি প্রাক্তন ভারতীয় নৌবাহিনীর এই অফিসারকে সন্ত্রাসবাদ, নাশকতা ও চরবৃত্তির অভিযোগে গত এপ্রিলে গোপন বিচারে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত।
শেষ পর্যন্ত ভারতের আবেদন গ্রহণ করে মে মাসে তাঁর মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যয়বিচার আদালত। হেগের ওই আদালতে চলতি মাসেই এই মামলার শুনানি ফের শুরু হচ্ছে।

পাকিস্তানের দাবি, কুলভূষণকে অশান্ত বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা হল, পাক-চিন প্রকল্পটি সেখানকার গোয়াদর বন্দরে মিশেছে।
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে ভারতের দাবি, ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে অবসরের পর ইরানে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজকর্মের সূত্রে ছিলেন, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করেছে পাকিস্তান।