নয়াদিল্লি: আগে জৌলুস বুঝি কম ছিল যে নতুন করে ঘষামাজা করতে হল! ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’-এর (American Dreams) নতুন চেহারা নিয়ে এমনই প্রশ্ন ঘুরছে মুখে মুখে। না, কোনও দার্শনিক তত্ত্ব নয়, বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়ির (Longest Car in World) নাম ‘দ্য আমেরিকান ড্রিম’। আগে থেকেই গিনেস ওয়র্ল্ড রেকর্ডস-এ নাম ছিল গাড়িটির। এ বার নিজের উচ্চতা যথার্থই আরও বাড়িয়ে নিল সে।
বেশ কিছু রদবদল ঘটিয়ে সম্প্রতি নতুন রূপে গাড়িটিকে সামনে আনা হয়। তাতে বর্তমানে গাড়িটির দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০০ ফুট। তাতে যাত্রীদের বসার জন্য আরামদায়ক আসন যেমন রয়েছে, তেমনই ঘুমোনোর জন্য ওয়াটারবেড, সুইমিং পুল, ডাইভিং বোর্ড, জাকুজি, বাথটাব এমনকি আকারে ছোট একটি গল্ফ কোর্সও রয়েছে, যাতে একঘেয়ে যাত্রা পথ আরামদায়ক হয়।
শুধু তাই নয়, গাড়ির মাথায় রয়েছে হেলিপ্যাড। স্টিল দিয়ে তৈরি হয়েছে গাড়ির ছাদ, যা কি না দু’টনের বেশি ওজন বইতে সক্ষম। গাড়িটি এতটাই দীর্ঘ যে ভারতের ছয়টি হন্ডা সিটি গাড়ি পর পর দাঁড় করালে তার পরেও কিছুটা জায়গা ফাঁকা থেকে যাবে।
১৯৭৬-এর ক্যাডিলাক এলডোরাডো লিম্যুজিন গাড়িতে এই বিপুল আয়োজনে সুসজ্জিত করা হয়েছে। শুরুতে গাড়িটির দৈর্ঘ্য ছিল ৪০ ফুট। চাকার সংখ্যা ছিল ২৬। গাড়ির সামনে এবং পিছনের অংশে একজোড়া ভি-৮ ইঞ্জিন ছিল। দুই দিক থেকেই গাড়িটি চালানো সম্ভব। দু’টি পৃথক অংশকে জুড়ে গাড়িটি তৈরি করা হয়।গাড়ির মধ্যে রয়েছে ফ্রিজ, টেলিফোন পরিষেবা, এবং একাধিক টেলিভিশন সেট। ৭৫ জন যাত্রী একসঙ্গে গাড়িটিতে চেপে যাত্রা করতে পারবেন।
একসময় আমেরিকার চলচ্চিত্র জগতে গাড়িটিকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল। একাধিক ছবিতে তাই গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে। অনেকে গাড়িটি ভাড়াও নিতেন। কিন্তু গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ, পার্কিংয়ের অসুবিধার কারণে ধীরে ধীরে আগ্রহ কমতে থাকে। পরে মাইক ম্যানিং নামের এক ব্যক্তি গাড়িটি কিনে নতুন করে সাজাতে শুরু করেন। তবে ওই গাডি় রাস্তায় নামানো হবে না। বরং ডেজারল্যান্ড পার্ক কার মিউজিয়ামে সেটি রাখা থাকবে।