গতকাল তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল নিয়ে আফগানিস্তান হয়ে ইসলামাবাদ যান জিন্দাল। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পাক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। সরকারি প্রটোকলের আওতায় তাঁকে ৪৫ কিমি দূরে মুরির পাহাড়ে শরিফের ব্যক্তিগত বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘন্টাখানেক শরিফের সঙ্গে কথা বলেন জিন্দাল।
এদিকে জিন্দাল-শরিফ বৈঠকের খবর চাউর হতেই পাক পার্লামেন্টে সরব হয় বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। প্রাক্তন পাক ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের দল এই বৈঠকে আপত্তি জানিয়ে প্রস্তাব পেশ করেছে পঞ্জাব অ্যাসেম্বলিতে। তাতে বলা হয়েছে, জিন্দল মোদীর কোনও বার্তা নিয়ে এসেছিলেন (সম্ভবত কুলভূষণ যাদবের ব্যাপারে)। পাকিস্তানের জনতার জানা উচিত কেন প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের কথা চেপে রেখেছেন। ভারত পাকিস্তানকে গোটা দুনিয়ায় একঘরে করতে উঠেপড়ে লেগেছে, তখন কী এই বৈঠকের উদ্দেশ্য? দলের মুখপাত্র ফওয়াদ চৌধুরি বলেছেন, কেন এক ভারতীয় শিল্পপতির সঙ্গে বৈঠকে বসার দরকার হল, দেশবাসীকে জানান প্রধানমন্ত্রী। পিটিআই এও বলেছে, পানামা লিক মামলায় পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিপাকে পড়েছেন শরিফ, তাঁর ইস্তফার দাবি উঠেছে। তাঁকে উদ্ধার করতেই ভারতীয় দলের এই সফর।
যদিও শরিফের মেয়ে মরিয়মের দাবি, শ্রী জিন্দল প্রধানমন্ত্রীর পুরানো বন্ধু। ফলে দুজনের বৈঠকে গোপনীয়তার কিছুই নেই। বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ারও কিছু হয়নি। ধন্যবাদ।
২০১৫-র ২৫ ডিসেম্বর শরিফের জন্মদিন ও তাঁর নাতনীর বিয়ে উপলক্ষ্যে অপ্রত্যাশিত ভাবে দেশে ফেরার পথে লাহোরে নেমে মোদী যে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তার নেপথ্যেও নাকি ছিলেন জিন্দল ।