ইসলমাবাদ: যথেষ্ট প্রমাণের অভাবে পানামাগেটে অভিযুক্ত নওয়াজ শরিফকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ। তবে নওয়াজের পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি যৌথ দল গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি ও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর আধিকারিকরা এই যৌথ তদন্তকারী দলে থাকবেন। শরিফ ও তাঁর দুই পুত্র হাসান ও হুসেনকে তদন্তকারীদের জেরার মুখোমুখি হতে হবে। দু মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। এর মধ্যে প্রতি দু সপ্তাহ অন্তর আদালতকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

শরিফের বিরুদ্ধে ন’য়ের দশকে দু বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় লন্ডনে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে। পানামা পেপার্সে বলা হয়, শরিফ ও তাঁর পুত্ররা বিদেশি সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করেছেন। এই অভিযোগ সামনে আসার পরেই নওয়াজকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান, জামাত-ই-ইসলামি আমির সিরাজুল হক ও শেখ রশিদ আহমেদ। গত বছরের ৩ নভেম্বর থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। ৫৭ দিন শুনানি চলার পর আজ ৫৪৭ পাতার রায় দিয়েছে আদালত।

আদালতের এই রায়ে উল্লসিত নওয়াজের সমর্থকরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেছেন, গত বছর প্রধানমন্ত্রী পানামা লিকসের তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই ঘটনাতেই তাঁর সততা প্রমাণিত হয়েছিল। এবার আদালতের রায়ে তাঁরা ন্যায়বিচার পাবেন। বিরোধীদের অবশ্য দাবি, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার করা হয়েছে। নওয়াজকে মাত্র ৬০ দিন সময় দিয়েছে আদালত। তারপর দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।