হ্যাংঝৌ: জি-২০ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে নাম না করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ নরেন্দ্র মোদীর। বিশ্বের ২০টি শক্তিশালী অর্থনৈতিক রাষ্ট্রের বৈঠকের সমাপ্তি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একটিমাত্র রাষ্ট্রই আমাদের এলাকার দেশগুলিতে সন্ত্রাসের এজেন্টদের পাঠাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বিপদের বিরুদ্ধে জোট বেঁধে এক সুরে গলা মেলাবে, পদক্ষেপ করবে, একে রোখার তাগিদ দেখাবে, এটাই প্রত্যাশা করি আমরা। যারা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাতে মদত দেয়, তাদের পুরস্কার দিলে চলবে না, বরং তাদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে, নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে তাদের বিরুদ্ধে।


সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদতদানের মোকাবিলায় জি-২০র প্রয়াসের প্রশংসা করে ভারত, এ কথা জানিয়ে মোদী বলেন, সব দেশেরই ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের মাপকাঠিগুলি মেনে চলা উচিত।

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান হিংসা ও সন্ত্রাসের শক্তিগুলি মৌলিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে। কিছু দেশ আছে যারা সন্ত্রাস, হিংসাকেই রাষ্ট্রীয় নীতি হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে। তবে ভারত সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স অর্থাত্ তাকে বিন্দুমাত্র সহ্য না করার অবস্থান নিয়েছে, কেননা এক্ষেত্রে একটুও শিথিল অবস্থান নিলে চলবে না। আমাদের কাছে একজন সন্ত্রাসবাদী সন্ত্রাসবাদীই।

গতকালই ব্র্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) সন্ত্রাস মোকাবিলায় যৌথ প্রয়াস আরও জোরদার করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। ব্রিকস রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়া বা অন্যত্র কিন্তু সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাংক বা অস্ত্রশস্ত্রের কারখানা নেই। অবশ্যই কেউ না কেউ ওদের অস্ত্র-অর্থ দিচ্ছে। ব্রিকস-কে শুধু সন্ত্রাস মোকাবিলায় যৌথ প্রয়াস তীব্র করলেই হবে না, যারা সন্ত্রাসের সমর্থক, পৃষ্ঠপোষক, তাদের বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, হিজবুল মুজাহিদিন সন্ত্রাসবাদী বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর জেরে কাশ্মীর উপত্যকায় লাগাতার হিংসা, অশান্তি ঘিরে বাকযুদ্ধ চলছে ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে। সেই প্রেক্ষাপটেই জি-২০র মঞ্চে পরোক্ষে পাকিস্তানকে দুষলেন মোদী।