রাষ্ট্রপুঞ্জ:  রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রায় সমস্ত নেতা-নেত্রীর সামনেই কাশ্মীর প্রসঙ্গের উত্থাপন করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এছাড়াও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ও হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন শরিফ। সূত্রের খবর, যদিও পাকিস্তানের এই উদ্যোগ বিশেষ কারও নজর আকর্ষণ করেনি।

শরিফ কাশ্মীর প্রসঙ্গ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান এবং তুরস্কের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কাশ্মীর সমস্যায় তাঁদের হস্তক্ষেপের আর্জিও তোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

শরিফ মঙ্গলবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এর্ডোগান-এর সঙ্গে দেখা করে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের করুণ অবস্থার কথা বিশ্লেষণ করেন। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, কীভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত। শরিফ দাবি তুলেছেন জাপান যেন সেখানে এক প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে।
প্রসঙ্গত, সোমবার মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরি এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-র সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শরিফ। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন কীভাবে ভারত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই হামলায় ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হাজারেরও বেশি, দাবি পাকিস্তানের। শরিফ প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের এক প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ক্লিন্টন একসময় আশ্বাস দিয়েছিলেন মার্কিন প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে ভারতের যেকোনও সমস্যা সমাধানে সবধরনের সাহায্য করবে।

সেই প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তিনি মার্কিন বিদেশ সচিব জন কেরির কাছে আর্জি রেখেছেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুক মার্কিন প্রশাসন। এদিকে ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলার সময় শরিফ আর্জি জানান, তাঁরা ভারতকে বোঝাক পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা অভিযান বন্ধ করুক মোদী সরকার। পাক প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কাশ্মীরিদের স্বাধীনতার জন্যে এই লড়াই। তাই নীতিগত ভাবে পাকিস্তান এই লড়াইকে সমর্থন করে।

তবে শরিফের এই উদ্যোগে তেমন সাড়া মেলেনি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুন সাধারণ সভার অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষনেও উল্লেখ করেননি কাশ্মীর প্রসঙ্গের কথা। চলতি কাশ্মীর সমস্যার মধ্যে সম্প্রতি উরি সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় ভারত-পাক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে।