গত মাসেই সুন্নি তেহরিক, পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক, মজলিস-ই-ওয়াহদাতুল মুসলিমিন, নিজের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ সমেত প্রায় দু ডজন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর মহাজোট ঘোষণা করেন মুশারফ। তবে মুশারফের ২৩ দলের আওয়ামি ইত্তেহাদ অ্যালায়েন্স ঘোষণার পরদিনই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায় কয়েকটি দল।
সঈদ গত শনিবার ২০১৮-র সাধারণ নির্বাচনে লড়ার কথা ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক মহল তাঁকে জঙ্গি তকমা দিলেও পাকিস্তানের কয়েকটি ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির মধ্যে তাঁর প্রভাব আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দিনকয়েক আগেই তাঁকে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দেয় লাহোর হাইকোর্ট। সঈদ অবশ্য কোন কেন্দ্র থেকে লড়তে চান, সে ব্যাপারে কিছু জানাননি। গত আগস্টে তাঁর জামাত-উদ-দাওয়া মিল্লি মুসলিম লিগ নামে নতুন দল ঘোষণা করলেও তাকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি পাক নির্বাচন কমিশন। ২০০৮ এর ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসে তাঁর হাত থাকার অভিযোগে সঈদকে ওয়ান্টেড জঙ্গি বলেছে ভারত, আমেরিকা। তাঁর ১ কোটি মার্কিন ডলার মাথার দামও ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন। সম্প্রতি পাক মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, লস্কর-ই-তৈবার সবচেয়ে বড় সমর্থক আমিই। জানি, ওরাও আমাকে পছন্দ করে, জামাত-উদ-দাওয়াও করে।