ইসলামাবাদ: পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে মহিলাদের খুন করা ইসলাম-বিরোধী বলে জানাল পাকিস্তানের ধর্মীয় সংস্থা ‘কনজারভেটিভ কাউন্সিল অব ইসলামিক ইডিওলজি’ (সিআইআই) ।
পাকিস্তানে বাড়ির সিদ্ধান্ত, আপত্তি উপেক্ষা করে মনের মানুষকে বিয়ে করে পরিবারের মুখ পুড়ানোর অভিযোগে মেয়েদের খুন করার ঘটনা আকছার ঘটে। এপর্যন্ত পরিবারের সম্মান রক্ষায় এরকম খুন হওয়া মহিলার সংখ্যা অন্তত ১১০০।
যে সংস্থাটি এভাবে মেয়েদের মেরে ফেলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তারা পাকিস্তানে সাংবিধানিক মর্যাদা পায়। ইসলাম মেনে আইন বানানোর ব্যাপারে তারা পাক পার্লামেন্টকে প্রস্তাবও দেয়, যদিও তা মানা বাধ্যতামূলক নয়। কয়েকদিন আগে অবশ্য তারাই এক নয়া নারী সুরক্ষা বিলে স্বামী স্ত্রীকে ‘একটু আধটু’ মারধর করতেই পারে বলায় প্রবল ভাবে নিন্দিত হয়েছিল। কিন্তু এবার তারাই সুর বদলে বলেছে, কাছের জনের নৈতিক অধঃপতন দেখলে পরিবারের সদস্যদের উত্তেজিত হয়ে পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে মাথা গরম করে কাউকে খুন করা যায় না। কারণ সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সাজার বিধি রয়েছে পাকিস্তান দণ্ডবিধি, শরিয়তেই। প্রত্যেক অভিযুক্তকে আদালতে নিয়ে আসতে হবে। পরিবারের সম্মানহানির জন্য কাউকে সাজা বা ক্ষমা করে দিতে পারে একমাত্র আদালতই।
ঘটনাচক্রে গত পরশুই পাকিস্তানে বারেলভি গোষ্ঠীর অন্তত ৪০ জন মৌলবী ফতোয়া জারি করে পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যাকে ইসলাম-বিরোধী, অমার্জনীয় পাপ বলে ঘোষণা করেছে।
পরিবারের সম্মান রক্ষায় মেয়েকে খুন করা ইসলাম-বিরোধী, জানাল পাক ধর্মীয় সংস্থা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
14 Jun 2016 03:44 PM (IST)
NEXT
PREV
আন্তর্জাতিক (world) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -