নিউ ইয়র্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে রুশবাহিনী। তবে, ইউক্রেন দখলের কোনও পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার, সোমবার রাষ্ট্রসংঘে জরুরি ভিত্তিতে বসা সাধারণ অধিবেশনে একথা জানালেন রাশিয়ার স্থায়ী দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া। 


তিনি বলেন, ইউক্রেন দখল করার আমাদের পরিকল্পনায় নেই। এই বিশেষ অভিযানের উদ্দেশ্য হল, আট বছর ধরে কিয়েভ শাসনে নির্যাতিত এবং গণহত্যার শিকার হওয়া লোকদের রক্ষা করা। এর জন্য ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ করা প্রয়োজন।


আরও পড়ুন ; ইউক্রেনকে ওষুধ ও মানবিক সহায়তা দেবে ভারত, ঘোষণা কেন্দ্রের


এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পরমাণু প্রতিরোধ বাহিনীকে 'বিশেষ সতর্কতায়' রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর, সোমবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের জরুরি অধিবেশন চলাকালীন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রাশিয়ার সিদ্ধান্তকে "হাড়হিম" করার মতো বলে অভিহিত করেছেন।


রবিবার, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এবং চিফ অফ দ্য জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভকে রাশিয়ান সেনার প্রতিরোধ বাহিনীকে যুদ্ধের বিশেষ মোডে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গুতেরেস বলেছেন, "আমরা ইউক্রেনে একটি ট্র্যাজেডির সম্মুখীন হচ্ছি। তবে আমাদের সকলের জন্য সম্ভাব্য সংকটও রয়েছে। গতকাল, রাশিয়ান পারমাণবিক বাহিনীকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছিল। এটি একটি হাড়হিম করা বিষয়। কোনও কিছুই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে সমর্থন করতে পারে না।"


প্রসঙ্গত, সোমবারই একটি সূত্র মারফৎ দাবি করা হয়, রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধাভ্যাস শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনও মরিয়া রাশিয়াকে রুখতে। ভ্লাদিমির পুতিনের হানাদারদের খতম করতে হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন সাধারণ নাগরিকরা। এই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন মিস ইউক্রেন আনাসতাসিয়া লেনাও। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই এদিন বেলারুসে মুখোমুখি বসলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ইউক্রেন। যুদ্ধ থামাতে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আশ্বাস দেয় রাশিয়াও। দ্বিতীয় বৈঠক হবে পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে। শান্তিই একমাত্র সমাধান। বলেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব।