ওয়াশিংটন : ইউক্রেনে রাসায়নিক-অস্ত্র কর্মসূচি সমর্থন করছে আমেরিকা। বুধবার রাশিয়ার এই দাবি উড়িয়ে দেয় ওয়াশিংটন। এর পাশাপাশি পাল্টা তারা অভিযোগ তোলে যে, মস্কোর তরফ থেকেই রাসায়নিক-অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে।


এক বিবৃতিতে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ক্রেমলিনের তরফে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা ছড়ানো হচ্ছে যে, আমেরিকা ও ইউক্রেন রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র নিয়ে কর্মসূচি চালাচ্ছে। ইউক্রেনে নিজেদের ভয়ঙ্কর কর্মকাণ্ডের সুবিচার করতেই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি ট্যুইটারে লেখেন, রাশিয়া মিথ্যা দাবি করছে। আমাদের সকলকে রাশিয়ার দিকে নজর রাখতে হবে। ওরা ইউক্রেনে রাসায়নিক ও জৈব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।


রাশিয়া-ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ২ সপ্তাহ অতিক্রান্ত। বিপন্ন মানবতা। আক্রমণ থামাচ্ছে না রাশিয়া। পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে বিশ্বজুড়ে সঙ্কটের বাতাবরণ। কিন্তু, সমাধান সূত্র এখনও অধরা। যুদ্ধ চলছে জলে, স্থলে, আকাশে।


এই আবহেই শুরু হয়ে গেছে বাণিজ্যিক-যুদ্ধও। আমেরিকার বাজারে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস নিষিদ্ধ করেছে বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করেছে একাধিক মার্কিন ফুড চেন। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাচ্ছে ব্রিটেন। পাল্টা বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ করতে ডিক্রি সই করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।


ইতিমধ্যেই রাশিয়ায় বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা কোকা-কোলা এবং পেপসিকো। রাশিয়া জুড়ে ফুড চেন বন্ধ করেছে ম্যাকডোনাল্ডাস এবং স্টারবাকস্। আমেরিকা আগেই রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সে পথে হেঁটে ব্রিটেনও রাশিয়া থেকে এবার তেল আমদানি কমিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।


পাল্টা কৌশল নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। মঙ্গলবারই একাধিক দেশ থেকে বিভিন্ন সামগ্রীর কাঁচামাল আমদানি ও রফতানি বন্ধ করতে ডিক্রি-তে সই করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি আগামী ৬ মাস বিদেশি মুদ্রা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ক্রেমলিন।


অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে কোণঠাসা চেষ্টা করছে আমেরিকা। তাতে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার রাতে ট্যুইটারে লেখেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে আমেরিকা, পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। আমেরিকার বাজার থেকে তেল, গ্যাস এবং কয়লা নিষিদ্ধ করায় ধন্যবাদ।


এই আবহেই জৈব বা রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।