মস্কো: রাশিয়া তিনদিক থেকে আক্রমণ করার পর অসম যুদ্ধে নামতে হয়েছে ইউক্রেনকে। আমেরিকা, ব্রিটেন বা ন্যাটো সামরিক সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসেনি। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হতাশার সুরে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ তাঁদের একাই লড়তে হচ্ছে। পাশে কেউ নেই।  


এভাবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর প্রতিই জেলেনস্কি হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য়, গতকাল ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর কড়া সুর শোনা গিয়েছিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গলায়। তবে দিনভর রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে হানাহানি চললেও, বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সংঘাতে কোনও ভাবে নাক গলাবেন না তাঁরা। আমেরিকাও সেনা পাঠাবে না, সেনা পাঠাবে না ন্যাটো অন্তর্ভুক্ত কোনও দেশও। যদিও কড়া ভাষায় রাশিয়ার আচরণের সমালোচনা করেন বাইডেন। বলেন, "রাশিয়া আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করেছে। এ ব্যাপারে জি-৭ দেশগুলি আমাদের পাশে রয়েছে। ইউক্রেনে সাইবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তাই তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা চালু করবে আমেরিকা। সে দেশে পণ্য রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দিচ্ছি আমি।"


কিন্তু এতে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ হয়নি রাশিয়ার। ফলে হতাশার সুর শোনা গিয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের গলায়। এরইমধ্যে স্বস্তিতে নেই রাশিয়াও। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওযার পর রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে দেখা দিয়েছে যুদ্ধ-বিরোধী বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে যুদ্ধ চাই না, ধ্বনি তুলে সরব হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থায় নিয়েছে রুশ প্রশাসন। অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, প্রায় হাজার খানেক বিক্ষোভকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। 


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মস্কোতে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় হাজার দুয়েক বিক্ষোভকারী। পিটার্সবার্গেও প্রায় এক হাজার মানুষ যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। উল্লেখ্য়, পুতিন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পর রুশ সমাজকর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকজনকে পথে নেমে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। মস্কোয় বিক্ষোভকারীরা নো ওয়ার স্লোগান দেন।  রাশিয়ার বিভিন্ন স্থানে কয়েক হাজার মানুষ পথে নেমে যুদ্ধের বিরোধিতায় সরব হন। 


সংবাদসংস্থার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পুলিশ যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত এক মহিলাকে টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তুলছে। আরও কয়েকজনকে ধরে জোর করে ভ্যানে তুলতেও দেখা গিয়েছে।