কিভ: ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে ঘনীভূত হচ্ছে আশঙ্কা (Russia-Ukraine War)। মারিউপোলে এখনও অবধি ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেখানকার মেয়র (Chemical Weapon)। মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়ার আশঙ্কাও করেছেন তিনি। 


দেড় মাসব্যাপী যুদ্ধে বিধ্বস্ত মারিউপোল


৪৮ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে! যুদ্ধের ধ্বংসলীলা চলছে একের পর এক শহরে। ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলে তৈরি হয়েছে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সেখানে ইউক্রেনীয় সেনাকে জব্দ করতে মস্কো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কাও তীব্রতর হয়েছে। 


সোমবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে ইউক্রেন অভিযান থামাচ্ছে না মস্কো। অপর দিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ডনবাস অঞ্চলে নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। তাদের আশঙ্কা রাশিয়া কেমিক্যাল ওয়েপন বা জৈব অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে। 


আরও পড়ুন: Indo-US relations: "বুচায় গণহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক,'' বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য মোদির


কিভের দাবি, বেলারুশ থেকে ফের পূর্ব ইউক্রেনে অভিযান চালাতে সেনা ঢোকাচ্ছে রাশিয়া। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে ইউক্রেন প্রশাসনের হাতে এমন তথ্য এসে পৌঁছেছে বলে খবর। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ডোনেৎসক, লুহানস্ক ছাড়া খেরসন, মিকোলেইভে - যেখানে যেখানে ইউক্রেনের সেনা এখন মোতায়েন আছে, তাদের ওপর হামলা চালানোর ছক কষছে রাশিয়ার সেনা।


যুযুধান দুই পক্ষ, রাশিয়া এবং ইউক্রেন


ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য ইরাক থেকে নাকি যুদ্ধাস্ত্র এসে পৌঁছচ্ছে রাশিয়ার হাতে। নেপথ্যে হাত আছে ইরানের উইপন স্মাগলিং নেটওয়ার্কের। এই তালিকায় রকেট লঞ্চার থেকে শুরু করে মিসাইল সবই আছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে প্রত্যাঘাত করছে ইউক্রেনও। সেদেশের সেনার দাবি, এই যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার ১৯ হাজার ৫০০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে ৭৩২টি রুশ ট্যাঙ্ক ও ১৫৭টি বিমান! 


ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৫ হাজার ৮০০টি যুদ্ধপরাধের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস। তবে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। বুচার পরে বোরোডিয়াঙ্কাতেও রুশ সেনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছিল ইউক্রেন। 


বোরোডিয়াঙ্কায় এদিন ২টি বহুতলের ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। লুহানস্ককের বিভিন্ন জায়গায় রুশ শেলিংয়ের জেরে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।ল ফেব্রুয়ারিতে রুশ আগ্রাসনের শুরুর পর থেকে আজ অবধি বন্দর শহর মারিউপোলে ১০ হাজার নিরীহ নাগরিক যুদ্ধের বলি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন সেখানকার মেয়র। তাঁর আশঙ্কা মৃতের সংখ্যাটা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।