লাহোর: আমেরিকা তার জামাত-উদ-দাওয়ার রাজনৈতিক সংগঠন মিল্লি মুসলিম লিগকে (এমএমএল) বিদেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর তকমা দিলেও ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে পাত্তাই দিচ্ছে না হাফিজ মহম্মদ সঈদ। সামনের বছর পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। তাতে লড়তে চায় হাফিজ। সেজন্য এমএমএল নামে দল খুলে তার রাজনৈতিক স্বীকৃতি চেয়েছে সে। কিন্তু তার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা ভেস্তে দিতে গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ওই দলকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা দিয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন থেকে বৈধ রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পাওয়া কঠিন হবে হাফিজের পক্ষে। তবুও সে বিদ্রূপের সুরে বলেছে, আমেরিকা নিষিদ্ধ করল মানে সেই দলের কিছুটা হলেও বিশ্বাসযোগ্যতা, গুরুত্ব আছে। এও বলেছে, আমেরিকানরা বুঝতে পারছে যে, এই দলটার সঙ্গে সন্ধি করা যাবে না।

জামাত প্রধান এক সমাবেশে ফের পাকিস্তানজুড়ে কাশ্মীর ইস্যুর সমর্থন জোগাড়ের হুঙ্কারও ছেড়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসিকেও সে আবেদন করেছে, বাকি মেয়াদটুকু তিনি যেন কাশ্মীরের স্বার্থে নিজেকে নিয়োজিত করেন। এজন্য আমেরিকা তার অনুগতদের তালিকা থেকে আপনার নাম হয়তো ছেঁটে দেবে, কিন্তু সেটা হবে আপনার কাছে সম্মানের।
কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অত্যাচারের প্রতিবাদে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের দপ্তরের বাইরে অবস্থানে বসতেও আব্বাসিকে আহ্বান জানায় সঈদ। গতকাল ইসলামাবাদ, করাচি ও পাকিস্তানের অন্যত্রও কাশ্মীর সংহতি দিবস পালিত হয়। মিছিলে ভারত-বিরোধী স্লোগানও ওঠে।