ইসলামাবাদ: পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে জঙ্গি তৈরির কারখানা হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন সেখানকার মানুষ। হাজিরা অঞ্চলের বাসিন্দাদের দাবি, পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা এবং সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি হিসেবে গড়ে তুলেছে। প্রতিবাদ সত্ত্বেও জঙ্গিদের মদত দেওয়া বন্ধ করছে না ইসলামাবাদ। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অন্তত ৫০টি জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চলছে। লস্কর-ই-তৈবা, লস্কর-ই-জাঙ্গভি, এমনকী আইএসআইএস-ও জঙ্গি শিবির চালাচ্ছে। এই জঙ্গি শিবিরগুলি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলছে।


জেকেএনএপি দলের নেতা লিয়াকত হায়াত খান বলেছেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীকে হাত জোড় করে বলছি, দয়া করে এখানে জঙ্গিদের পাঠাবেন না। এই শান্তিপূর্ণ প্রদেশে সব অঞ্চলের মানুষ একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। হিন্দু ও শিয়াদের ধর্মীয় স্থান, মসজিদের মধ্যে বিস্ফোরণ হচ্ছে।’

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমাদের এখানে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে, যারা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়, তাদেরই সন্ত্রাসবাদের শিকার হতে হয়। হয় অপহরণ করা হয়, না হলে খুন করে দেওয়া হয় এই ব্যক্তিদের। মীরপুর, হাজিরার মতো অঞ্চলগুলির বহু বাসিন্দার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবাদীদের দেশ-বিরোধী আখ্যা দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কাশ্মীরে যদি কোনও নাস্তিক থাকে, তাহলে তারা পাকিস্তানি। পাকিস্তানে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালায় পাক সেনাবাহিনীর বি টিম।’

ভারত দীর্ঘদিন ধরেই পাক সেনাবাহিনী এবং আইএসআই-এর বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়া এবং পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির চলার অভিযোগ করে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশই ভারতের এই অভিযোগ মেনে নিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ দফতর মহম্মদ ইউসুফ শাহ ও সৈয়দ সালাউদ্দিনকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করেছে। এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাও পাক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ করায় চাপে পড়ে গেল ইসলামাবাদ।