প্যারিস: ফ্রান্সে ফের সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলা। প্যারিসে এক সুপারমার্কেটে গুলি বন্দুকধারীর। নিজেকে ইসলামিক স্টেটের লোক বলে দাবি করে সে সেখানে বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করে রেখেছে। অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, বন্দুকধারী সুপারমার্কেটে ঢোকার আগে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দেয়। ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই গণ্য করছে স্থানীয় প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী এডুয়ার্ড ফিলিপে ঘটনাটিকে 'সিরিয়াস' বলেছেন।
দক্ষিণ পশ্চিম ফ্রান্সের ত্রেবেস এলাকার সুপারমার্কেট সুপার ইউ স্টোরে গুলিচালনার পাশাপাশি সেখান থেকে গাড়িতে ১৫ মিনিট দূরের কারক্যাসোনে শহরেও এক পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, জানা যায়নি। নিরাপত্তাবাহিনী দুটি ক্ষেত্রেই ছুটে গিয়েছে ঘটনাস্থলে।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছে, ত্রেবেসে লোকটি সকাল প্রায় ১১টা ১৫ নাগাদ সুপারমার্কেটে ঢুকে পড়ে, সেখান থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। এলাকায় জনসাধারণের যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বন্দুকধারীর আইএসের সদস্য হওয়ার দাবি সত্যি প্রমাণিত হলে এটি হবে গত বছরের মে মাসে মধ্যপন্থী এমানুয়েল মাকরঁ প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম ফ্রান্সে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা।
২০১৫-য় জানুয়ারি থেকে পরপর বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী হামলার পর হাই অ্যালার্ট বহাল রয়েছে ফ্রান্সে। তার মধ্যেই হল আজকের গুলিচালনার ঘটনা। ২০১৫-য় ব্যঙ্গধর্মী ম্যাগাজিন শার্লি এবদোর দপ্তরে হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছিলেন। সে বছরই নভেম্বরে প্যারিসে বড়সড় হামলা চালায় আইএস জঙ্গিরা। বার, রেস্তোরাঁ, বাটাক্লান কনসার্ট হল, ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে নিহত হন ১৩০ জন।
২০১৬-র জুলাইয়ে বাস্তিল ডে উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের জমায়েতের মধ্য দিয়ে ট্রাক চালিয়ে বহু লোককে পিষে দেয় একজন। ৮৪ জন প্রাণ হারান। হামলাকারী নিজেকে আইএস জঙ্গি বলে দাবি করে। জরুরি অবস্থা ঘোষিত হয়। গত অক্টোবরে তা তুলেও নেওয়া হয়। তারপরও অবশ্য সন্ত্রাসদমন বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়া হয়। প্রধান প্রধান পর্যটকস্থল, পরিবহণ কেন্দ্রগুলিতে পাহারা বহাল রাখে ফরাসি সেনা।