'সারাদিন অনলাইনে পড়াশোনা, বাবাকে বললাম আজই নিয়ে চলো', বলল প্রথম দিনেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় আসা খুদে দর্শক
দীর্ঘ ৬ মাসে চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকার সময়কালে, পার্কটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়। এতে পর্যটকদের কাছে এর আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকরোনা পরিস্থিতিতে চিড়িয়াখানার বাইরে টিকিট কাউন্টার থেকে কাটা যাচ্ছে না টিকিট। অনলাইনেই টিকিট কাটতে হচ্ছে পর্যটকদের। অন্যদিকে, এদিনই খুলেছে কলকাতার বনবিতান।
সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে এদিন খুলেছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি। প্রতিদিন এখানে সর্বোচ্চ ৩০০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিন জিপে চেপে জঙ্গল সাফারি উপভোগ করেন পর্যটকরা। তবে, বন্ধ রয়েছে হাতি সাফারি।
দর্শকদের জন্য খুলে গিয়েছে ঝাড়গ্রামের জুলজিক্যাল পার্ক। জঙ্গলমহলে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে এই ডিয়ার পার্ক খুবই জনপ্রিয়।
করোনা পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র অনলাইনে টিকিট বুকিং-এর নির্দেশিকা থাকলেও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে, এখানে অফলাইনেও টিকিট দেওয়া হয়। বেঙ্গল সাফারি ডিরেক্টর বাদল দেবনাথ বলেন, সবরকম স্বাস্থ্য বিধি মেনে করা হচ্ছে। মাস্ক বাধ্যতামূলক।
এদিন সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনসটিটিউটও। দার্জিলিঙের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্কে সর্বাধিক ২ হাজার জনের প্রবেশে অনুমতি দিয়েছে সরকার।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন জনতার ভিড় দেখেনি পশু-পাখিরা। এই অবস্থায়, তাঁদের ওপর কোনও প্রভাব পড়ে কিনা, সেব্যাপারে নজর রেখেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
করোনা-শঙ্কায় ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ও ১০ বছরের কম বয়সীদের চিড়িয়াখানায় না যাওয়ার পরামর্শ দেয় সরকার। কিন্তু, তাও প্রথম দিনেই আলিপুর চিড়িয়াখানায় দেখা গেল এক ক্ষুদে ও এক প্রবীণকে।
আলিপুর চিড়িয়াখানায় সর্বাধিক ৫ হাজার মানুষর ঢোকার অনুমতি রয়েছে। এদিন অত ভিড় না হলেও, চিড়িয়াখানার গেটে ছিল পর্যটকদের লাইন।
পর্যটকদের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। কারও করোনা উপসর্গ থাকলে, তাঁকে গেটেই আটকে দিচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
সকাল ৯টায়, খুলে যায় আলিপুর চিড়িয়াখানার গেট। প্রথমে স্যানিটাইজেশন টানেল,তারপর থার্মাল স্ক্রিনিং। এসব কিছুর পর, ভিতরে প্রবেশের অনুমতি।
এদিনই বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় দেখা যায় পর্যটকদের ভিড়। এদিন সকালে চিড়িয়াখানার গেট খুলতেই একে একে হাজির হতে শুরু করেন পর্যটকরা।
করোনার জেরে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে এসবের স্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিল বাঙালি। শুক্রবার খুলে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত চিড়য়াখানা, সাফারি পার্ক। ফলে খুশি পর্যটকরা। সবকটি চিড়িয়াখানাতেই ছিল স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। মুখে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
ইচ্ছে করলেই শীতের আমেজকে সঙ্গী করে পৌঁছে যাওয়া যাবে রেড পান্ডাদের ডেরায়। বাসের জানলা থেকে দেখা যাবে রয়্যাল বেঙ্গলের রাজকীয় মেজাজ। চাইলেই চোখের সামনে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দেবে লাজুক হরিণের দল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -